শুদ্ধিকরণের বার্তা সুব্রত মুখার্জির! বহু হেভিওয়েটের কপাল কি পুড়তে চলেছে? জল্পনা তৃণমূলেই! কলকাতা রাজ্য June 6, 2020 রাজ্যের আমপান ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিদর্শন করছেন এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় রাজ্যের আরেক মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, সাগরে কোন মন্ত্রী যাননি। ওই এলাকার কাছেই এক মন্ত্রী থাকেন। তবু তিনি সেখানে যাননি। এগুলো এবার আমাদের শুধরে নিতে হবে। যার পরেই বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিকমহলে। ‘এবার আমাদের শুধরে নিতে হবে’ এই শেষের কথাটি ঘিরেই শুরু যত জল্পনা। অনেকেই বলছেন এর মানে কি ২০২১ এর লক্ষে তৃণমূল দলে শুদ্ধিকরণ করতে চলেছে? কেননা ২০১৯ লোকসভা ভোটের পর থেকেই ঘরের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। আর এখন তো অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন যে বিজেপি ২০২১ এ বাংলার ক্ষমতা দখল করবে। তার জন্য নানা পরিকল্পনাও নিতে চলেছেন বলে খবর। যদিও থেমে নেই তৃণমূলও। তারাও নেমেছে মাঠে। ভোট শুরু প্রশান্ত কিশোরকে দেওয়া হয়েছে দলের দ্বায়িত্ব। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। দলের নেতা নেত্রীদের কাজ নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ। সাথেই প্রকাশ্যে চলে আসছে দলের অন্দরেও কলহও। নেতা মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন যার জেরে ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে দলের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি সাধন পান্ডে ,ফিরহাদ হাকিমকে নাম না করে আক্রমণ করেছেন, যার জেরে পরেশ পাল আবার দলের নিয়ম না মেনে সাধন পান্ডেকে তীব্র অশালীন আক্রমণ করেছেন। যার ফলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অন্যদিকে এমফানে বিপর্যস্ত সুন্দরবনের ধারেকাছেও দেখা যায়নি সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে। যার খারাপ প্রভাব যে জনমানসে পড়ছে তা বেশ বুঝতে পারছে দলের শীর্ষ নেতৃর্ত্ব। কেননা এই বিষয়গুলি নিয়ে বিজেপি সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছে। এদিকে কথায় আছে যে বিপদে পাশে দাঁড়ায় সেই প্রকৃত বন্ধু হয়, আর তৃণমূল সরকার মুখে বার বার দাবি করলেও কাজ যে হচ্ছে না তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা এমনটাই অভিযোগ করে বিজেপি মাঠে নামতে শুরু করেছে, যার জেরে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে। সাথেই বিজেপির তরফ থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে, যারা সর্বদা নিজেদের মধ্যে ঝগড়ায় ব্যাস্ত তারা কিকরে মানুষের সেবা করবে।তাছাড়া রেশন দুর্নীতি, ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি সব কিছুই ভাবমূর্তি নষ্ট করছে ফলে ঘুরে দাঁড়াতে দলে শুদ্ধিকরণ প্রয়োন। আর এদিন কি সেই ইঙ্গিতটি দিলেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই নিয়েই শুরু জল্পনা। যদি সত্যিই শুরু হয় শুদ্ধিকরণ তবে অনেক হেভিওয়েট ই পদ হারাবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল। আপনার মতামত জানান -