এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সুব্রতকে সরানোর পর দিলীপকে নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু! তার মাঝেই বিস্ফোরক পোস্টে উত্তাল বিজেপি!

সুব্রতকে সরানোর পর দিলীপকে নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু! তার মাঝেই বিস্ফোরক পোস্টে উত্তাল বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আবহে সম্প্রতি বিজেপি দলের সাংগঠনিক রদবদল করা হয়েছে। এই সাংগঠনিক রদবদলের ফলে দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। এভাবে বিজেপি নেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের পর থেকেই দলের মধ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অনেকে, সম্ভাবনা বাড়ছে গোষ্ঠী কোন্দলের। আবার, সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই তাঁকে অপসারণ করার অর্থই রাজ্য সভাপতিকে কোনঠাসা করে দেওয়া। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সহায়ক দেব সাহা গতকাল শুক্রবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ” বর্গি দেশের এক উজির পশ্চিমবঙ্গে বার বার আঘাত হানছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে সঙ্গে আছে কিছু বর্গি পেয়াদা।” ফেসবুকে তাঁর এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই, তা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য বিজেপির অন্দরে। যদিও অল্প সময় পরেই এই পোস্টটিকে তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এই পোষ্ট ঘিরে বিতর্ক বাড়তেই থাকে।

প্রসঙ্গত বিজেপি দলে বারবার গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা ঘুরে ফিরে আসছে। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ায় রাহুল সিনহা দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তিনি নিজের পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। এরপর দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের পর থেকেই দলের গোষ্ঠী কোন্দল আবার তীব্র হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা সুব্রত চট্টোপাধ্যায় আরএসএস এর একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তাও, সেইসঙ্গে তিনি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। তাই তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার অর্থই হলো রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দুর্বল করে দেওয়া। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। অনেকে এটাও বলছেন যে, এর পরবর্তী পদক্ষেপ হতে চলেছে রাজ্য সভাপতিকে তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ানো।

যদিও রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিংবা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় এই সম্ভাবনার কথা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা দুজনেই এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এমন ধরনের কোনো সম্ভাবনার কথা তাঁরা জানেন না। তবে, রাজ্য বিজেপিতে একজন কার্যকরী সভাপতি নিয়োগের সম্ভাবনার কথা বলেছেন কেউ কেউ। রাজ্য বিজেপিতে কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করা হলে, রাজ্য সভাপতির ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সেক্ষেত্রেও পদ থেকে অপসারিত না হলেও তাঁর ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই পরিস্থিতিতে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করলো দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সহায়ক দেব সাহার ফেসবুক পোস্টটি। অনেকে মনে করছেন যে, তিনি তাঁর এই পোস্টে ‘বর্গি’ বলতে দিলীপ ঘোষের বিরোধী কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে ইঙ্গিত করে থাকতে পারেন। আবার ‘বর্গি পেয়াদা’ বলতে তিনি মুকুল রায়কে ইঙ্গিত করতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। তবে এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘ দেব ছোট ছেলে। রাজনীতিতে অপরিণত। এত ভেবে ও কিছু লেখেনি। তবে এ সব নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে দেখে ও পোস্টটা মুছে দিয়েছে।’’

অন্যদিকে আবার সল্টলেকে ইজেডসিসিতে সম্প্রতি বিজেপির উদ্যোগে দূর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। গতকাল সেখানে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু মন্ডপে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। পরিবর্তে মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ বাবুর বিরোধী বলে পরিচিত সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তবে, দলের অন্দরের বিরোধের বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যের শিল্প নীতি কি নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে শিল্পপতিদের ডেকে পরামর্শ চাইবেন তাঁরা। আগামী ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে এই কর্মসূচি তাঁরা পালন করতে চলেছেন।

তবে গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আত্ম সহায়ক দেব সাহার ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দলের অস্বস্তি যথেষ্ট বেড়েছে। যা অনেকটাই প্রকাশ্যে এনে ফেলেছে দলের গোষ্ঠী কোন্দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!