এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শুধু পরাজয় নয়, ভোট পরবর্তী বিশ্লেষণে বাংলায় বিজেপির রীতিমত ‘কঙ্কালসার’ চেহারা উঠে আসছে!

শুধু পরাজয় নয়, ভোট পরবর্তী বিশ্লেষণে বাংলায় বিজেপির রীতিমত ‘কঙ্কালসার’ চেহারা উঠে আসছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে কার্যত আত্মপ্রত্যয়ী ছিল। 200 আসন পার করবে বলে দাবি করে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু সেই বিজেপি 77 টি আসন দখল করে স্তব্ধ হয়ে যাবে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে জনতা জনার্দনের রায়কে মাথা পেতে নিয়ে কেন এই ভরাডুবি হল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। আর সেই চর্চা করতে গিয়েই রীতিমত চোখ কপালে উঠেছে অনেক বিজেপি নেতাদের।

বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের দাবি করা হয়েছিল, এবার তারা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। কিন্তু বাস্তবে তা তো হয়ইনি, উল্টে মুর্শিদাবাদের অনেক বুথে বিজেপি চার থেকে পাঁচটির বেশি ভোট পায়নি বলে একটি তথ্য সামনে এল। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এত কথা বলা এবং বড়াই করা বিজেপি নেতারা কেন মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন বুথে ভালো ফল করতে পারলেন না? কেন খাতা খোলার মত পরিস্থিতি নেই ভারতীয় জনতা পার্টির?

জানা গেছে, নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির দল এখন চর্চা শুরু হয়েছে। আর সেই চর্চা করতে গিয়ে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের ৩(এ) বুথে বিজেপি মাত্র একটি ভোট পেয়েছে। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন 388 টি ভোট। অন্যদিকে ওই বিধানসভা কেন্দ্রের 14 এবং 28 নম্বর বুথেও বিজেপি একটি করে ভোট পেয়েছে বলে খবর। এছাড়া ওই মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থেকে শুরু করে রঘুনাথগঞ্জ, ডোমকল, রাণীনগরের মত বিধানসভা কেন্দ্রগুলোতে অনেক বুথেই বিজেপি প্রার্থীরা বলার মত ভোট পাননি।

স্বাভাবিক ভাবেই কেন বিজেপির এই অবস্থা হল? কেন তারা মুর্শিদাবাদ জেলায় খাতা পর্যন্ত খুলতে পারল না? এখন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন। একাংশ বলছেন, যে বিজেপি এত প্রভাব-প্রতিপত্তি দেখিয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তাদের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে তারা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে? মূলত ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দলের এই কঙ্কালসার চেহারা দেখে কার্যত হতাশ নেতা থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন হাতেগোনা ভোট পেল ভারতীয় জনতা পার্টি? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, “তৃনমুল এনআরসি নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছিল। ভোটারদের অনেকে তাদের কথা বিশ্বাস করেছেন। সেই কারণে কোনো কোনো বুথে এত খারাপ ফলাফল হয়েছে। তবে আগামীদিনে আমরা মানুষের কাছে নিশ্চিতভাবেই যাব।” তবে বিজেপি এই কথা বললেও তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, “উন্নয়নের জন্য মানুষ আমাদের নেত্রীর ওপর ভরসা করেছেন। সেই কারণে বহু বুথে তাদের একটিও ভোট দেয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে তারা ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিল। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। মানুষ সকাল-সকাল লাইনে দাঁড়িয়ে আমাদের ভোট দিয়েছেন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপির নির্বাচনের আগে যে অবস্থা ছিল, তার থেকে আরও অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। একদিকে বিপর্যয়ের কারণে দলের নেতারা একে অপরকে দায়ী করছেন, অন্যদিকে ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, অনেক বুথে বিজেপি ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে।

তাই মুখে বড় বড় কথা বললেও বিজেপি নেতারা যে সংগঠন শক্তিশালী করতে কাজের কাজ কিছুই করেননি, তা এই ফলাফলের পরেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করছেন সমালোচক মহলের একাংশ। যার ফলে তৃণমূল সেখানে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করেছে। তবে 77 টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের ক্ষমতা দখল করার পর বিজেপি এভাবেই “ভালো ফল করব” মুখে বলে, নাকি সংগঠনকে পুনরুদ্ধার করার দিকে নজর দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!