এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “শুধু স্বার্থ দেখলে, চারপাশে আপনি সমস্যাই দেখবেন” – জানালেন প্রধানমন্ত্রী

“শুধু স্বার্থ দেখলে, চারপাশে আপনি সমস্যাই দেখবেন” – জানালেন প্রধানমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি মাসে দুদিন একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে রাজ্যে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর, আজ ভার্চুয়াল ভাবে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবছর বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের দেখা গেলেও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ভার্চুয়াল ভাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বিশ্বভারতীর কর্তব্য হলো দেশকে জাগরিত করা। পড়ুয়াদের আগামী ২৫ বছরের জন্য ভিশন ডকুমেন্ট বানানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। স্বাধীনতার শতবর্ষে বিশ্বভারতীর লক্ষ্যের কথা জানালেন তিনি। এখানকার আশপাশের গ্রামগুলোকে আত্মনির্ভর করার পরামর্শ দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, সকলকে আত্মনির্ভর করে তুলতে, গ্রামে যা উৎপন্ন হয়, তাকে আন্তর্জাতিক করে তুলতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, বর্তমান ভারতের শিক্ষা নীতি অনেক স্বাধীনতা দিচ্ছে পড়ুয়াদের। দেশকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে নতুন শিক্ষানীতির প্রয়োজন। নতুনভাবে গবেষণার জন্য আগামী পাঁচ বছর ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জানান, ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই কারিগরি শিক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের যোগদান করতে হবে। ডিগ্রী কোর্স থেকে বিরতি নেওয়ার স্বাধীনতাও দেয়া হবে ছাত্র-ছাত্রীদের।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, ২০০ বছর আগে দেশের শিক্ষিতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। সেসময়ের মন্দিরেও শিক্ষাদান করা হতো। সে সময় রাজারা মহাবিদ্যালয় নির্মাণ করতেন। সে সময়ে দেশে উচ্চ শিক্ষার সংস্থানও ছিল। প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৮৩০ সালে বাংলা, বিহারে ১ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ বিদ্যালয় ছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী জানালেন, শুধু যদি নিজের স্বার্থ দেখা হয়, তাহলে নিজেকেই সমস্যায় ফেলা হবে। দেশকে অগ্রাধিকার দান করলে সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তিনি জানান, সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে যুবক সম্প্রদায়ের। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তাঁরা তৈরি করবেন।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, সমাজের উন্নয়নের জন্য সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। জ্ঞান, বিচার, উৎকর্ষ কখনোই এক জায়গায় থেমে থাকে না। জ্ঞান ও ক্ষমতা দায়িত্ববোধ থেকে আসে। তিনি জানালেন, ক্ষমতায় থাকতে হলে সংযমী, ধৈর্যশীল হওয়া প্রয়োজন। কারো চিন্তাধারা সমাজকে যেমন গৌরব এনে দেয়, তেমনি কারো চিন্তাধারা সমাজকে অন্ধকারাচ্ছন্নও করে দিতে পারে। তাই সদর্থক মানসিকতা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!