প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে আজ ভ্যাকসিন ছাড়াও একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কাছে খবর আছে, একসময় দেবাঞ্জন দেব দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের আইটি সেলের কনভেনর ছিলেন। তার এক কর্মী তাঁকে জানিয়েছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে বহু দিন ধরে ভোটার তালিকা তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন দেবাঞ্জন দেব।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভুয়ো গাড়ি, নীল বাতি ব্যবহার হয়েছিল বিভিন্ন স্থানে। যার দ্বারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হয়েছিল। শুধু দেবাঞ্জন দেব নয়, আরো অনেক লোক রয়েছেন যারা ভুয়ো গাড়ি, নীল বাতি, লোগো ব্যবহার করছেন। তিনি সন্দেহ করছেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এমন অনেক ভুয়ো অফিসার ছিলেন যারা নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছেন। ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত সর্বত্র এই ধরনের ভুয়ো লোক রাখা হয়েছিল। যারা ভোট এদিক-ওদিক করেছেন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের সংগঠন থেকে শুরু করে সরকার পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় যোগাযোগ ছিল দেবাঞ্জন দেবের। সর্বোচ্চ নেতারা জানতেন বলেই, এতদিন এই সমস্ত কাজ করতে পেরেছেন দেবাঞ্জন দেব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও জানিয়েছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনে এরকম আরো অনেক ভুয়ো ব্যক্তিকে অফিসার সাজিয়ে ভোটদান থেকে গণনা পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেছে তৃণমূল। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যদি সঠিক তদন্ত না হয়, প্রয়োজনে আদালতে যাবেন তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্ত না হলে ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব সম্পর্কে সঠিক তথ্য কিছুতেই সামনে আসবে না। কারণ, তৃণমূল সরকারের তদন্তের ওপর ভরসা নেই কারোর।

অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যর জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন যে, দেবাঞ্জন দেবের মামলাতে অবিলম্বে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে পার্টি করা উচিত। কারণ, তাঁর কাছে সমস্ত রকম তথ্য আছে। তিনি মনে করছেন, দিলীপ ঘোষ আর যা যা বলছেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, কারা কারা ভুয়ো নীল গাড়ি ব্যবহার করতেন? তার সবকিছুই তিনি জানতেন। তাই তাঁকে পার্টি করলে, তাঁর এই সমস্ত বিপুল জ্ঞান মামলায় উঠে আসতে পারবে।

আবার, আজ থেকে চালু হওয়া ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, এই কার্ড আদৌ কার্যকর কিনা? তা তিনি জানতে চান। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে যে পরিস্থিতি চলছে, সে দিক থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে এই ধরনের চমক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের আগে এরকম অনেক প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে আদিবাসী, তফসিলিদের জন্য ভাতা। কিন্তু পরে এসব প্রকল্পের টাকা দেয়নি সরকার। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পেও সরকার এই ধরনেরই কাজ করবে।