শুধুমাত্র বিজেপি করার কারণে প্রবল মারধর করা হলো পৌড় ব্যবসায়ীকে তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপি করবার কারণে জনৈক বৃদ্ধ ব্যবসায়ীকে প্রচণ্ড মারধর করে তাঁর দোকানেই তাঁকে বস্তায় ভরে আটকে রাখলেন তৃণমূলের নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এলো। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে পুলিশ বিজেপির এই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। তবে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করলেন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার উস্তি থানার একতারা এলাকার বাসিন্দা হলেন বিকাশ মণ্ডল। বৃদ্ধা ব্যবসায়ী বিকাশ মণ্ডল বিজেপির একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত আছেন। ঘটকপুর দ্বীপের মোড়ে একটি গ্রিলের দোকান রয়েছে তাঁর। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, শুধুমাত্র বিজেপি করবার কারণে ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার কারনে গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রচন্ড মারধর করেছেন এক তৃণমূলের নেতা ও তাঁর অনুগামিরা। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, গতকাল বৃহস্পতিবার একতারা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ফেলুরাম হালদার তাঁর অনুগামী ভুলু হালদার, সমীর হালদার, সনাতন নস্কর প্রমুখরা অকস্মাৎ তাঁর দোকানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ফেলুরাম হালদার রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী গিয়াস মোল্লার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপির কর্মী হবার কারনে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করেন তৃণমূল নেতা ও তার অনুগামীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি অভিযোগ করেছেন যে, গতকাল তাঁকে প্রচণ্ড মারধোর করার পর, তাঁকে দোকানের ভেতরে একটি বস্তায় ভরে বস্তা বেঁধে দোকানের ভেতরেই তাঁকে আটকে রেখে চলে যান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বহুক্ষণ বন্দী থাকার পর রাতের দিকে কোনরকমে বস্তা থেকে তিনি বের হন ও তাকে উদ্ধারের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর চিৎকার শুনে তাঁর দোকানের সামনে উপস্থিত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করেন। তারপর খবর দেয়া হয় তার বাড়িতে। তাঁর চিকিৎসার স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে নিয়ে যান বানেশ্বরপুর হাসপাতালে। গতকাল রাতে আহত অবস্থায় তিনি ভর্তি হন বানেশ্বরপুর হাসপাতালে। আজ শুক্রবার সকালে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে, তাঁকে ডায়মন্ডহারবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই ঘটনার জন্য অভিযোগ জানাতে তাঁরা থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। পরে পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতা মহিতোষ সর্দার জানান কাজে, প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে দিনের পর দিন বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে শাসক দল তৃণমূল। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, এভাবে অত্যাচার করে কখনোই বিজেপিকে আটকে রাখতে পারবে না তৃণমূল। তবে, অভিযুক্ত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অবশ্য এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। এভাবে আগামী নির্বাচন এগিয়ে আসতেই রাজ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি মধ্যে সংঘর্ষ প্রচন্ড ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনার মতামত জানান -