এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > সুদীপ্তর রহস্যজনক চিঠি তৃণমূলকে ক্লিনচিট দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ বিজেপি, বাম কং-এর বিরুদ্ধে?

সুদীপ্তর রহস্যজনক চিঠি তৃণমূলকে ক্লিনচিট দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ বিজেপি, বাম কং-এর বিরুদ্ধে?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সম্প্রতি চিঠি লিখেছেন সারদার সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। এই চিঠিতে তিনি বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএমের কিছু শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই চিঠি তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানোর আবেদন করেছেন জেলের কাছে। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে গেছে এই চিঠি। তবে, তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পৌঁছেছে কিনা? তার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানালেন যে, জেলের নিয়ম মেনেই চিঠি লিখেছেন সুদীপ্ত সেন। যে চিঠি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। তবে এই চিঠির যে প্রতিলিপি পাওয়া গেছে, তার সত্যতা যাচাই করে নি প্রিয় বন্ধু মিডিয়া।

জেলে বসে এটাই প্রথম চিঠি সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠি। চিঠিতে তিনি যে নেতাদের নামে অভিযোগ করেছেন, তাদের মধ্যে দুজন সিপিএমের, একজন কংগ্রেসের ও একজন বিজেপির নেতা। সকলেই তাঁর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বাম কংগ্রেস শিবির থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে কাঁচা হাতের কাজ এটি। বাম কংগ্রেস শিবিরের দাবি, সারদা কাণ্ড নিয়ে একসময় লড়াই করেছিলেন বাম কংগ্রেসের নেতারা। এখন বিধানসভা ভোটের আগে নেতাদের বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য রাখা হয়নি এ বিষয়ে।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেও একটি চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। যে চিঠিতে কয়েক জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তিনি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। পরে সিবিআই কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তারও করেছিল। এবার চিঠিতে লিখেছেন যে, তিনি আক্ষেপ করেছেন যে নেতাদের নাম তিনি লিখেছেন, তাঁরা বেআইনিভাবে টাকা নিয়েও ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু, জেলের ভেতর এতদিন চুপ করে বসে থাকার পর, ঠিক বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এমন চিঠি কেন তিনি লিখলেন? চিঠিতে বিভিন্ন নেতার নামে একেবারে টাকার অংক বসিয়ে অভিযোগ কেন করলেন? তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের স্বাক্ষর করা ১ লা ডিসেম্বর তারিখের একটি চিঠির প্রতিলিপিতে লেখা হয়েছে যে, সমাজের বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে প্রচুর আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে অনুরোধ করছেন। এরপর ওই চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নাম করা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে অধীর চৌধুরী ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ৯ কোটি টাকা, বিমান বসুর বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। এক শীর্ষস্থানীয় তৃণমূল নেতা ৬ কোটি নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন যে, ভয় পেয়েছে তৃণমূল সরকার। এ কারণেই বাম-কংগ্রেস জোটের নেতাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। সারদা কাণ্ডে অভিযুক্তরা হয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র। জামিন পেলে সুদীপ্ত সেনও তৃণমূলের মুখপাত্র হয়ে যেতে পারেন, তাই তাকে নিয়ে এ সমস্ত কাজ করানো হচ্ছে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এ সম্পর্কে বলেছেন যে, তাই নাকি, দেখা যাক। বাম পরিষদিয় নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে, সাত বছর ধরে রাজ্য সরকারের সিট থেকে শুরু করে সিবিআই তদন্ত করে কিছু পায়নি। শেষে মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। এতে সন্মান কার বেড়েছে, তা তিনি জানেন না। তবে তা যে কাঁচা হাতের কাজ, তা ধরা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য রাখা হয়নি।

এই চিঠির প্রতিলিপিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সম্পর্কে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি এত বিরাট অংকের টাকা নিয়েছেন যে, তা মনে করতে পারছেন না সুদীপ্ত সেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন যে, সুদীপ্ত সেন এখন জেলে বসে আছেন। তিনি কি করলেন তাতে কিছু আসে যায় না।সুদীপ্ত সেন আরো অভিযোগ করেছেন যে, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূলের আরো বেশ কিছু নেতা তাঁর থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন যে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই নেতারা এখন অন্য নেতাদের সমালোচনা করে যাচ্ছেন। একথা তিনি সিবিআইকে জানিয়েছেন বলেও জানালেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, যারা তার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়েছেন, তাঁরা এখন বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন দেখে, তাঁর কষ্ট হচ্ছে। এজন্য রাজ্য সরকারকেও উপযুক্ত তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!