সংসদে বলতে উঠেই কেন্দ্রের অস্বস্তি তীব্রতর করলেন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু জাতীয় রাজ্য July 24, 2018 সম্প্রতি রিলায়েন্সের কর্নধার আম্বানির বিশ্ববিদ্যালয়কে কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মোদী। জিও বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ইনস্টিটিউট অব এমিয়েন্স’ তালিকাভুক্তও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা শিক্ষাবিদ সুগত বসু। প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রাচীন নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের খেতাব না দিয়ে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনই হয়নি তাকে সেরা প্রতিষ্ঠানের তকমা দেওয়া হল কেন? তাঁর আরও প্রশ্ন, এতদিন শিক্ষাক্ষেত্র সামলানো রাজ্য এবং কেন্দ্রের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির কি কোনো যোগ্যতাই তৈরি হয়নি? এদিন লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এই প্রশ্নেই তুলকালাম কান্ড বাধান সুগতবাবু। বড় শিল্পপতিদের খুশি করতেই এমন সিদ্ধান্ত কিনা তার ব্যাখ্যা চান তিনি। সঙ্গে ইউজিসি তুলে দেওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। সুগতবাবুর প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরকারি আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কোনো নিয়ম নেই। জিও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গ্রিনফিল্ড তালিকায়। যে ১১ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আবেদন জানিয়েছিল তাদের মধ্যে থেকেই জিওকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত জমি পরিকল্পনা, তহবিল, অভিজ্ঞ কোর কমিটি-সহ একাধিক বিষয়কে মাপকাঠি হিসাবেই রাখা হয়েছিল। সঙ্গে যোগ করেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গোপালস্বামীর নেতৃত্বাধীন ১১৭ জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদের উপস্থিতিতে তাঁদের মতামত নিয়ে উত্কর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ৬টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। আইআইটি বম্বে, আইআইটি দিল্লি ও আইআইএসসি প্রতিষ্ঠানগুলিকে ১০০০ কোটি টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকেও উত্কর্ষ প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিন সুগত বসুর অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জাওড়েকর বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্বাধিকার দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। ইউজিসি এবং পৃথক মঞ্জুরি সংস্থা, দুটিই চালাবেন শিক্ষাবিদরাই। প্রায় ১০ হাজার পরামর্শ এসেছে,কাজেই দুশ্চিন্তার কারণ নেই। মোট ১৭ জনের কমিটিতে ১৪ জন শিক্ষাবিদ থাকবেন, এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।’ প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালে প্রথম ইউজিসি তৈরি হওয়ার সময় দেশে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫০০ টি কলেজ ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে ৯০০ বিশ্ববিদ্যালয় ও ৪০ হাজার কলেজ হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩,৫৪,০০,০০। কিন্তু বিশ্বের সেরা ২০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে দেশের ১টি মাত্র প্রতিষ্ঠান, ইন্ডিয়ান ইনিস্টিউট অফ সায়েন্স। আপনার মতামত জানান -