এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মোদিভাই-দিদিভাই সেটিং ও “সোনা-বৌমা” নিয়ে ভোটের আগে বিস্ফোরক সুজন চক্রবর্তী

মোদিভাই-দিদিভাই সেটিং ও “সোনা-বৌমা” নিয়ে ভোটের আগে বিস্ফোরক সুজন চক্রবর্তী

দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে গোপন সমঝোতার অভিযোগ তুলেছে বামেরা। আর এবার লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপের পারদ যখন তীব্র মাত্রায় চড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই ফের নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমঝোতার কথা তুলে ধরে বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত’র মৃত্যুর ছয় বৎসর উদযাপন উপলক্ষে কলেজ স্ট্রিটে চারটি বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত হন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা রাজ্যের বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী। আর সেখান থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ছাত্র-যুবরাই প্রধান ভূমিকা পালন করবেন বলে নিজেদের দলীয় ছাত্র সংগঠনকে আরও শক্তিশালী হওয়ার পরামর্শ দেন সুজন বাবু।

তারপরে দিনের সভা মঞ্চ থেকে একযোগে রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসক দল কে কটাক্ষ করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে মোদি সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। আর বাংলায় শিক্ষা ও ছাত্র বিরোধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি চলছে। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা অনশণ করছে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের দৌলতে তোলাবাজি চলছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটকে তার কাছ থেকে 2 কেজি সোনা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হলে এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “সোনা ভাইপো বা সোনার বৌমার মাথায় কার অনুপ্রেরণার হাত আছে তা বাংলার মানুষ জানতে চায়।

আসলে নরেন্দ্র মোদির দল ও সরকারই বাংলায় তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার বাহিনীকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই রাজ্যে নিজেদের জমি তৈরি করার স্বার্থে। আর যদি এটা না হত, তাহলে এতদিনে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি মামলায় অনেকেরই জেলে প্রচার কথা ছিল। আসলে এসবই কেন্দ্র এবং রাজ্যের সমঝোতা।”

আজকের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসলে এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আসলে একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করছেন। দুইপক্ষ কে কাকে কটা আসন উপহার দেবে তারই তরজা শোনা যাবে ওদের গলায়। বিজেপি ব্রিগেডের জন্য 32 কোটি টাকা খরচ করে আধুনিক হ্যাঙ্গার ব্যবহার করে যে ছাউনি তৈরি করেছে, তা আসলে যাতে ওদের ভিড় দেখা না যায় তার জন্যই ব্যবস্থা।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই রাজ্যে কিছুটা হলেও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বামেরা। আর তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে একযোগে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে “দিদিভাই-মোদীভাই” সমঝোতার অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল তোলার চেষ্টা করলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!