এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুখবর! করোনার আর্থিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে রাজ্য! খরচ নিয়ে বিধায়কদের নতুন নির্দেশে বাড়ছে জল্পনা

সুখবর! করোনার আর্থিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠছে রাজ্য! খরচ নিয়ে বিধায়কদের নতুন নির্দেশে বাড়ছে জল্পনা

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু তার আগে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে এলাকাবাসীকে কাছে টানার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিধায়করা যখন সে উন্নয়নে জোর দিতে টাকার প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছেন রাজ্য সরকারকে, তখন সরকারি সূত্রে করোনা আবহে বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করা যাবেনা বলে জানানো হয়েছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিধায়করা ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন, কিভাবে উন্নয়ন না করে সাধারণ মানুষকে পাশে পাওয়া যাবে তাই নিয়ে।

তবে এবার রাজ্য সরকার সুখবর জানিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে যে টাকা খরচ করতে বারণ করা হয়েছিল বিধায়কদের, আবার সেই টাকায় উন্নয়ন শুরু করতে বলা হয়েছে তাঁদের। গত কয়েক মাস উন্নয়ন বন্ধ থাকার পর আবারও নতুন করে শুরু হতে চলেছে তা। এই মুহূর্তে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলা প্রশাসনকে উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রতিবছর 60 লাখ টাকা বিধায়ক তহবিল থেকে খরচ করা যায় এলাকার উন্নয়নে।

যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনেক বিধায়ক জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এখনো কোনো নির্দেশ আসেনি। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিধায়ক ও সংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে না করে দিয়েছিল। সংসদ তহবিলের 5 কোটি টাকা এলাকার উন্নয়নের জন্য ধার্য করা হয়। কিন্তু সেই টাকা করোনা পরিস্থিতির জন্য কনসলিডেটেড ফান্ডে জমা করার কথা বলা হয়। কিন্তু এবার রাজ্য সরকার তাঁদের সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিল, যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, 2 সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যুগ্ম-সচিব পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় সমস্ত জেলার জেলাশাসককে এ প্রসঙ্গে একটি চিঠি দিয়েছেন। এছাড়াও কলকাতা পুরসভার কমিশনারকেও চিঠি করা হয়েছে। এবং সবাইকেই এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলি চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলি চালু হলেও সেক্ষেত্রে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি এবং সমস্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীদের দাবি মেনে উন্নয়নের কাজ করার জন্য টাকার দরবার করছিলেন এতদিন ধরে বিধায়করা।

প্রসঙ্গত, বিধায়করা এলাকার উন্নয়নের জন্য কত টাকা খরচ হবে তার খসড়া আগে পেশ করেন। সেই অনুযায়ী টাকা বাস্তবায়িত হয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে। প্রতিবছর 30-30 করে দুবার মোট 60 হাজার টাকা বিধায়কদের দেওয়া হয়। তবে চলতি আর্থিক বছরে বিধায়করা এখনো ওই টাকা পাননি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে অনেক বিধায়কই জানিয়েছেন, টাকা খরচের নিষেধাজ্ঞা তাঁদের কাছে এলেও উন্নয়ন প্রকল্প আবার চালু করার কোনো নির্দেশ এখনো পর্যন্ত তাঁদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।

করোনা আবহে রাজ্য সরকার বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা যায়। তাই নিয়ে রাজ্য কেন্দ্র বিরোধ এখনোও চলছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে উন্নয়নের হাতিয়ারকে কাজে লাগাতে আর্থিক অসুবিধা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বিধায়কদের টাকা খরচের জন্য সম্মতি দিলেন। আপাতত দেখার, উন্নয়নকে হাতিয়ার করলেও রাজ্যের শাসক দলকে সাধারণ মানুষ কতটা কাছে টানে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!