সুমন চট্টোপাধ্যায়ের পর শ্রীকান্ত মোহতা – লোকসভার আগে জল্পনা বাড়িয়ে গ্রেপ্তার একের পর এক মমতা-ঘনিষ্ঠ, এবার কার পালা? কলকাতা রাজ্য January 24, 2019 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – ইউপিএ সরকারের আমলেই বাংলার চিটফান্ড কান্ড নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই তদন্ত চালিয়ে যায় এবং চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেপ্তার হন শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রী, সাংসদ, নেতা – যদিও স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্বের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিতেই এইসব গ্রেপ্তারি করাচ্ছে। কিন্তু, এরপরেই বেশ কিছুদিন যেন ভাটা পরে গিয়েছিল চিটফান্ডকান্ড নিয়ে সিবিআই তদন্তে। তখনই, বামফ্রন্ট সহ অন্যান্য বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, আসলে দিদিভাই-মোদীভাই সেটিং হয়ে গেছে। তাই মুখে যতই বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস একে অপরের উপর তোপ দাগুগ, আদতে চিটফান্ড কাণ্ডে বিশেষ কিছু হবে না। বহু প্রভাবশালীই এই তদন্ত থেকে বেঁচে যাবে। যদিও বিজেপির রাজ্যস্তরের শীর্ষনেতাদের বক্তব্য ছিল, সিবিআই তদন্তে মোটেই নাক গলাচ্ছে না বিজেপি – সিবিআই নিজের মতোই তদন্ত করছে। আগামীদিনে শাসকদলের অর্ধেক নেতাই নাকি ভুবনেশ্বরের জেলে থাকবেন! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এবার লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই – দু-দুটি হেভিওয়েট গ্রেপ্তারি রীতিমত চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কিছুদিন আগেই বাংলার এক বহুল প্রচারিত দৈনিকের চিফ এডিটর সুমন চট্টোপাধ্যায়, এই পত্রিকায় যোগ দেওয়ার আগে তাঁর মালিকানায় থাকা একটি পত্রিকায় চিটফান্ডের টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। সুমনবাবু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই রাজনৈতিক মহলের জল্পনা। এদিকে আজ মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দাপুটে ব্যবসায়ী তথা প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা সেই চিটফান্ড কান্ডেই গ্রেপ্তার হলেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে এইরকম দু-দুজন দাপুটে ও প্রভাবশালী মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ায় রীতিমত নড়েচড়ে বসেছে রাজনৈতিক মহল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তালিকায় আর কার কার নাম আছে। বেশ কিছু নাম নিয়ে জল্পনাও ছড়াচ্ছে – তাঁদের মধ্যে কেউ নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত, তো কেউ প্রভাবশালী ‘বিদ্বজন’ বলে পরিচিত, তো কেউ রয়েছেন সরাসরি রাজনীতির ময়দানে। রাজ্য-রাজনীতিতে অতি-পরিচিত এক নেতার সরস টিপ্পনি – দলটার (অনেক জিজ্ঞাসার পরেও, কোনো রাজনৈতিক দলের নাম নেন নি!) নীচে থেকে উপর পর্যন্ত যেভাবে সবাই ভাগ-বাটোয়ারা করে খেয়েছে, আগে আগে দেখতে থাকুন – কিভাবে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোয়! আপনার মতামত জানান -