প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে রাজ্য সরকার কলকাতা জাতীয় রাজ্য September 8, 2019 অস্বস্তি যেন কিছুতেই কাটছে না রাজ্য সরকারের। ফের প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রোষের মুখে পড়ল রাজ্য। সূত্রের খবর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি প্রসঙ্গে সংগঠক শিক্ষকদের একগুচ্ছ মামলার শুনানিতে আজ কিছু ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে লিখিত জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে আদালতের প্রশ্ন, স্ক্রুটিনি করে চাকরির যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বিলম্ব কেন? স্ক্রুটিনি তালিকায় থাকা ৬ হাজার ২৩৯ জনের ভবিষ্যৎ কী? জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এই জবাব দিতে হবে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম সান্তনাগৌধর এবং বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তা জানিয়ে দিয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্ক্রুটিনির কাজে সুপ্রিম কোর্ট বিদ্যালয় শিক্ষা সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান, তিন সদস্যের ‘ভেরিফিকেশন কমিটি’ গড়ে দিলেও তার কাজে সর্বোচ্চ আদালত বেজায় অসন্তুষ্ট। আর তাই নতুন করে ‘পশ্চিমবঙ্গ লিগাল এইড অথরিটি’কে স্ক্রুটিনি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা স্ক্রুটিনি করে প্রাইমারি বোর্ডকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেখানে জেলাওয়াড়ি ৬ হাজার ২৩৯ জনকে প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলেই মনে করা হয়েছে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। গত ২০১৮ সালের ৫ মে সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য প্রার্থীদের বাছা এবং নিয়োগ করার জন্য পাঁচ মাস সময় দেওয়ার পরেও তা না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা করে আবেদনকারী সংগঠক শিক্ষকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং রাজ্যের স্কুল সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। আর তারপর স্ক্রুটিনির উদ্যোগ নেওয়া হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি বলেই সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সংগঠক শিক্ষকদের আইনজীবী ছিলেন শান্তিরঞ্জন দাশ এবং অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়। যেখানে পর্যদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায়। আর আবেদনকারীদের আবেদন শুনে বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে, তা তিন সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দিন। বস্তুত, পাঠশালা প্রথা উঠে যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলোতে অনেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি পান। কিন্তু অনেকেই চাকরি পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। সেক্ষেত্রে তাদের বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। জানা যায়, এই ব্যক্তিরাই মূলত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ফলে এবার রাজ্য সরকারের কাছে সুপ্রিমকোর্ট বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও তার উত্তরে রাজ্য এখন ঠিক কি জানায়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -