এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আবেদন খারিজ হতেই সুপ্রিম কোর্টে মমতা, আজই শুনানির সম্ভাবনা!

আবেদন খারিজ হতেই সুপ্রিম কোর্টে মমতা, আজই শুনানির সম্ভাবনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নারদ কান্ডে কলকাতা হাইকোর্টে তার কথা শোনা হয়নি। তাই এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনের শুনানি হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ঠিক কি কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারদ কান্ডে চার হেভিওয়েট গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই সিবিআইয়ের সদরদপ্তর নিজাম প্যালেসে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যদি এভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তাহলে এই মামলার ওপর চাপ পড়তে পারে বলে যুক্তি দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এমনকি অন্য রাজ্যে এই মামলা নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এই যুক্তিকে সামনে রাখে সিবিআই।

পরবর্তীতে সিবিআইয়ের সেই যুক্তি খারিজ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট তা গ্রহণ করেনি। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী। অর্থাৎ কলকাতা হাইকোর্ট কথা না শোনার জন্যই যে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তা বলাই যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই হাইকোর্ট তাদের কথা না শুনলেও সুপ্রিমকোর্ট এই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই লক্ষ্য রয়েছে তৃণমূল শিবিরের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।

আর এরপরেই হাইকোর্টে একটি হলফনামা দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বলা হয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি নিজাম প্যালেস যাননি। শুধুমাত্র পারিবারিক সম্পর্কের নিরিখে সেখানে গিয়েছেন‌। যদিও বা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি। যার জেরে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ে যান তৃণমূল নেত্রী। আর এবার হাইকোর্ট যখন তাদের ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছে, তখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর রাস্তায় হাঁটলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

 

পর্যবেক্ষকদের মতে, নারদ কান্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। গোটা ঘটনায় বিজেপি প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছিল রাজ্যের শাসক দল। আর তারপরেই নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া এই চার হেভিওয়েটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি সেখানে আসবেন! পরবর্তীতে এভাবেই যদি প্রভাবশালীরা এই ঘটনায় জড়িত হতে থাকেন, তাহলে মামলা প্রভাবিত হতে পারে বলে যুক্তি সামনে আনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

যার ফলে অন্য রাজ্যে সেই মামলা চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে হাইকোর্টে সিবিআইয়ের সেই যুক্তিকে খারিজ করে নিজেদের বক্তব্য জানাতে উদ্যত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হাইকোর্ট সেই বক্তব্য না শোনার কারণে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীকে। সব মিলিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে এই শুনানি পর্বে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!