প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট – জানুন বিস্তারিত জাতীয় March 6, 2019 অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর আগামী পয়লা এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2014 সালে রাজ্যের বর্তমান তৃণমূল সরকার প্রাথমিক শিক্ষকতার চাকরির জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এইখানে মোট 40000 শূন্য পদ থাকলেও সেখানে আবেদন করেন প্রায় কুড়ি লক্ষ পরীক্ষার্থী। এদিকে পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন এসেছে এই অভিযোগ জানিয়ে ফল প্রকাশের পরই এই ব্যাপারে হাইকোর্টে মামলাও করেন কয়েক জন পরীক্ষার্থী। এদিকে পরীক্ষার্থীদের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, যে সমস্ত পরীক্ষার্থীরা এই মামলা করেছেন শুধুমাত্র তারাই সিলেবাসের বাইরে থেকে আসা প্রশ্নের জন্য বাড়তি নম্বর পাবেন। এদিকে বাকি পরীক্ষার্থীদের কি হবে তা নিয়ে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে একটি আবেদন করেন বসির আহমেদ নামে এক পরীক্ষার্থী। এদিকে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে সেই মামলাকে খারিজ করে দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশ দিলে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের সেই আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এদিন শীর্ষ আদালতে এই প্রসঙ্গে সওয়াল করতে গিয়ে সেই আবেদনকারীর আইনজীবী অতরুপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ ধরনের মামলায় একজনের জন্য যা রায় হয় তা সকলের উপরই বর্তায়। তাই শুধু সিঙ্গল বেঞ্চে আবেদনকারীই নয়, সমস্ত পরীক্ষার্থীদের ওপরই তা বলবৎ করা হোক।” এদিকে এদিনের এই শুনানি পর্বে উপস্থিত থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কুনাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মামলা যেমন চলছে চলুক, তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া যেমন চলছে সেটিও যেন বজায় থাকে।” তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কুনাল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে মান্যতা দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন দু’পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, আগামী 1 লা এপ্রিল পর্যন্ত এই নিয়োগের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। জানা গেছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জবাব দিতে হবে। আর তারপরই এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আপনার মতামত জানান -