এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রামমন্দির তৈরিতে আর রইল না কোনও বাধাই! বড়সড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের! জানুন বিস্তারিত

রামমন্দির তৈরিতে আর রইল না কোনও বাধাই! বড়সড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের! জানুন বিস্তারিত


দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে অযোধ্যার রামমন্দির। অযোধ্যায় মন্দির ছিল না মসজিদ – তা নিয়ে বিভিন্ন সময়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারতীয় রাজনীতি। আর সেই বিতর্ক দূর করতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই সম্মুখীন হয়েছিল আইনি লড়াইয়ের। দীর্ঘ শুনানির শেষে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে এই মামলার রায়দান করে সুপ্রিম কোর্ট।

যে রায়ে, স্পষ্ট বলা হয় অযোধ্যায় রামমন্দিরই হবে। এর বদলে মুসলিমদের পৃথক ৫ একর জমি অন্যত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু, এরপরেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পুনরায় বিভিন্ন পক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। ফলে, জল্পনা সৃষ্টি হয় যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও কি অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের কাজ থমকে যাবে। কিন্তু, এবারে সেইসব জল্পনা-কল্পনাকে রীতিমত গঙ্গায় ভাসিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, অযোধ্যা নিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যালোচনা চেয়ে যাবতীয় আর্জি সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মতে, কোনও আর্জিতেই সারবত্তা নেই। আর এরফলেই, আরও একবার অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির পথে বাধা সরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। ফলে, রীতিমত উল্লসিত অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ দেখতে আগ্রহী দেশের কোটি কোটি জনতা।

প্রসঙ্গত, রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে রায়, তার পর্যালোচনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মোট ১৮ টি পিটিশন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৯ টি করেছিলেন মূল মামলায় অংশগ্রহণকারীরা। বাকি ৯ টি ছিল বিভিন্ন অন্য সংগঠন, শিক্ষাবিদ ও মানবাধিকার কর্মীর আর্জি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের চেম্বারে সেই শুনানি শুরু হলে, স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় বিচারপতিরা শুধুমাত্র মূল মামলার শরিকদের আর্জিই খতিয়ে দেখবেন। বাকিদের আর্জি তো খারিজ হয়েই যায় – একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা এই নিয়ে আর কোনো মামলা করতে পারবেন না।

আর সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে সামনে এসেছে মিশ্র প্রক্রিয়া। রামজন্মভূমি ন্যাসের প্রধান নৃত্যগোপাল দাস জানিয়েছেন, সব বাধা সরে গেল, রামমন্দির সব আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পেল। পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শরদ শর্মা জানিয়েছেন, রায় পর্যালোচনার আর্জি জানিয়ে ল’ বোর্ড নিজেরাই নিজেদের মুখোশ খুলে ফেলেছে। রায়ের আগে ওরাই বলেছিল, আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা মেনে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের জাফরায়েব জিলানি মন্তব্য করেন, দুর্ভাগ্যজনক! পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা প্রবীণ আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!