এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার, পেছনে রয়েছে সিবিআইয়ের বড় রহস্য! জেনে নিন!

সুপ্রিম কোর্ট থেকে মামলা প্রত্যাহার, পেছনে রয়েছে সিবিআইয়ের বড় রহস্য! জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  মে মাসের গত 17 তারিখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে। পরবর্তীতে এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের তৎপরতা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সিবিআই কোনোমতেই যে নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের ছেড়ে কথা বলবে না, তা তাদের এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বহু নাটকীয় পরিস্থিতির পর শীর্ষ আদালতে মামলা করেও সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

স্বাভাবিক ভাবেই সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে এখন নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কেন এতটা এগিয়ে গিয়েও এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই? তাহলে কি এর পেছনে বড় কোনো কারণ রয়েছে? নাকি বুঝেশুনেই তারা এই রকম সিদ্ধান্ত নিল! এখন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, সিবিআই শীর্ষ আদালতে মামলা করার পর বড় ধাক্কা পেতে পারে। তাই আগেভাগেই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করল তারা। কেননা শীর্ষ আদালতে গিয়ে যদি তাদেরকে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়, তাহলে বড় সমস্যার মুখে পড়বে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের উদ্যোগ নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠবে। তাই আগেভাগেই নিজেদের মান বাচাতে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন একাংশ।

বস্তুত, এদিন শীর্ষ আদালতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নারদ কান্ডে একটি মামলা করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, সিবিআই যেন এই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়। এক্ষেত্রে হাইকোর্টেই এই মামলার সমস্ত কিছু বলার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তখন থেকেই সিবিআই কর্তারা কার্যত বুঝে গিয়েছেন যে, সুপ্রিম কোর্টে যদি তারা এই লড়াই করে, তাহলে তাদের জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে সিবিআইকে মামলা প্রত্যাহার করার কথা বলার সাথে সাথেই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একাংশ বলছেন, নারদ কান্ডে সিবিআইয়ের সক্রিয়তা এবং মন্ত্রী ও বিধায়কদের গ্রেপ্তারের পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক্ষেত্রে শাসকদলের পক্ষ থেকে যেমন প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণের অভিযোগ করা হয়েছে, ঠিক তেমনই যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন রাজ্য বিধানসভার সদস্য।

ফলে অধ্যক্ষের অনুমোদন না নিয়ে কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন। সে দিক থেকে বিভিন্ন জটিলতা সামনে আসতে শুরু করেছিল কখনো হাইকোর্টে ধাক্কা আবার কখনোবা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ এর পরিপ্রেক্ষিতে চাপে পড়ে যেতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের চাপে রাখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে পিছিয়ে যেতে বাধ্য হল সিবিআই। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই সিবিআইকে “খাঁচাবন্দি তোতাপাখি” বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন। অর্থাৎ কেন্দ্র যেভাবে নির্দেশ দেয়, সিবিআই সেই পথ অনুসরণ করে বলে অভিযোগ ছিল একাংশের।

নারদকান্ডে সিবিআই প্রথম থেকে কোমর বাধলেও, শেষ পর্যন্ত তাদের এই ভাবে পিছিয়ে যাওয়া অভিযুক্ত বা রাজ্যের শাসক দলের পক্ষে যথেষ্ট স্বস্তির কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!