এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বকেয়া কি মেটাতে পারবে ভোডাফোন? নাকি এবার ব্যবসা গোটানোর পথে?

সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বকেয়া কি মেটাতে পারবে ভোডাফোন? নাকি এবার ব্যবসা গোটানোর পথে?


লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট চাপ দেওয়া শুরু করে টেলিকম ডিপার্টমেন্ট এর ওপর। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তীব্র হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, সরকারি নির্দেশ না মানার জন্য। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রায় 54 হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটাতে হবে ভোডাফোন আইডিয়াকে। আর এই অবস্থাতে টেলিকম দুনিয়ায় একটাই আশঙ্কা ঘোরাফেরা করছে এই মুহূর্তে, অবিলম্বে এতগুলি টাকা যদি না দিতে পারে ভোডাফোন, তাহলে কি ভারত থেকে আগামী দিনে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে চলেছে ভোডাফোন আইডিয়া?

ইতিমধ্যে সূত্রের খবর, ভোডাফোন আইডিয়া 53 হাজার কোটি টাকার মধ্যে 2500 কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল সরকারকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই টাকা না নিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে ভোডাফোনকে। এই পরিস্থিতিতে অবশ্যই ভোডাফোনের সংকট গভীরতর হলো বলে মনে করছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, ভারতী এয়ারটেল অবশ্য সোমবার তাঁদের বকেয়া 10 হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেছে এবং ভারতী এয়ারটেল এর পক্ষে জানানো হয়েছে, আগামী 17 ই ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের পরবর্তী শুনানির আগেই বাকি টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।

সম্প্রতি লাইসেন্স ফি এবং স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ টেলিকম কোম্পানি গুলি সরকারের কাছে যে কোটি কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে সেই বকেয়া ফেরত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ডিরেক্টরেট অব টেলিকমের (ডিওটি) এক আধিকারিক একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন যাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে বাধা দেওয়া হয়। তাই নিয়েই টেলিকম দপ্তরের আধিকারিককে সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র ভর্ৎসনার পর শুক্রবার মাঝরাতের মধ্যে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও টেলিকম কোম্পানিগুলি এই নির্দেশ মানেনি বলেই খবর। কারণ, ভোডাফোন আইডিয়া সুপ্রিম কোর্টে জানায়, তাঁরা সোমবারের মধ্যে 2500 কোটি টাকা এবং শুক্রবার এর মধ্যে আরও হাজার কোটি টাকা মেটাতে পারবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিত্রের বেঞ্চ ভোডাফোন আইডিয়ার এ অনুরোধ সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন। জানা গেছে, ভোডাফোন আইডিয়ার মাথায় করের বোঝা সীমাহীন। তাঁদের মোট বকেয়া প্রায় 53 হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে 24 হাজার 729 কোটি টাকা স্পেকট্রাম বাবদ দিতে হবে। এবং 28309 কোটি টাকা লাইসেন্স ফি বাবদ দিতে হবে।

অন্যদিকে, এদিন ভারতী এয়ারটেলের পক্ষ থেকে 10 হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এবং তাঁদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ”ভারতী এয়ারটেল, ভারতী হেক্সাকম ও টেলিনরের পক্ষ থেকে মোট ১০ হাজার কোটি পরিশোধ করা হয়েছে। আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পুনর্মূল্যায়ন করছি। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগেই বাকি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে।” উল্লেখ্য, ভারতী এয়ারটেল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার পরেই সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিল যে তারা 20 ফেব্রুয়ারির মধ্যে 10 হাজার কোটি টাকা সরকারকে দেবে। এবং 17 ই মার্চের মধ্যে বাকি 10 হাজার কোটি টাকা দেবে। কথা অনুযায়ী, সোমবার ভারতী এয়ারটেল 10 হাজার কোটি টাকা সরকারের ঘরে জমা করল।

অন্যদিকে, ভোডাফোনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী টেলিকম মন্ত্রকের যে টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার কতটা ভোডাফোন আইডিয়া মেটাতে পারবে, তা খতিয়ে দেখছে সংস্থা। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে টেলিকম সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভোডাফোন আইডিয়া ত্রৈমাসিক রিপোর্টে সংস্থার আর্থিক বেহাল অবস্থাটি ধরা পড়েছে। এই অবস্থায় ভারতে ব্যবসা চালাতে পারবে কিনা তাঁরা, তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আপাতত পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!