এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সুপ্রিম কোর্টে চলা ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় বিশেষ স্বস্তি রাজ্যের

সুপ্রিম কোর্টে চলা ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় বিশেষ স্বস্তি রাজ্যের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সুপ্রিমকোর্টে চলা ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় বিশেষ স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার ও হারান অধিকারীর পরিবারবর্গ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এই ঘটনার তদন্ত সিবিআই বা সিট গঠন করে করবার আর্জি জানান তাঁরা। এরপর সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় এর বিচার প্রক্রিয়া। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চে ছিলেন বাঙ্গালী বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি এই বিচার প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন। এর ফলে আপাতত এই মামলা স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বারবার ভোট-পরবর্তী হিংসার খবর আসতে শুরু করেছে। মূলত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর তার পরিবার এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে যান। এরপর হারান অধিকারী নামে অপর এক বিজেপি কর্মীরও মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সুপ্রিমকোর্টে তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। সিবিআই দ্বারা বা সিট গঠন করে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়। তাদের অভিযোগ ছিল, রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসন ভোট পরবর্তী হিংসায় দুষ্কৃতীদের পক্ষে রয়েছে। রাজ্যে মহিলাদের উপর হেনস্থা করা হচ্ছে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে গেছেন। এরপর সুপ্রিম কোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মহিলা কমিশন, মহিলা ও শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন, তফসিলি জাতি – জন জাতি কমিশনকে এই মামলার পক্ষ করে। রাজ্য সরকারের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়।

এই মামলায় বিচারপতিদের যে বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল, সেখানে ছিলেন বাঙ্গালী বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি নিজেকে বিচারপ্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে নিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, এই মামলা তিনি শুনতে চান না। তিনি চাইছেন না এই বিচার প্রক্রিয়া তাঁর এজলাসে করা হোক। আপাতত স্থগিত রাখা হলো এই মামলা, ফলে স্বস্তি পেলো রাজ্য সরকার। কেন বিচার প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়? তা এখনও স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। অনেকে মনে করছেন যে, বিচারপতি কলকাতার বাসিন্দা বলে তাঁর এজলাসে যদি এই বিচার চলে তবে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন অনেকে। এই কারণেই সম্ভবত বিচার প্রক্রিয়া থেকে সরে পড়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!