এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সুপ্রিম রায়ে চাপে বিজেপি, জেনে নিন বিস্তারিত

সুপ্রিম রায়ে চাপে বিজেপি, জেনে নিন বিস্তারিত

 

মহারাষ্ট্রে একের পর এক নাটকীয় মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। যেখানে নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায় জোট তৈরি করে সরকার গঠন করতে হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে ইতিমধ্যেই শনিবার সকালে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে মুখ্যমন্ত্রী এবং অজিত পাওয়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করান রাজ্যপাল ভগৎ সিং কেশরী। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা জোট।

জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য। এক্ষেত্রে আগামী 27 নভেম্বর শপথ গ্রহণ করার পর সেই আস্থা ভোট নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ আদালত। শুধু তাই নয়, আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এদিন সর্বোচ্চ আদালত গোটা ভোট প্রক্রিয়াকে গোপন ব্যালটে না করারও নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়াও কোর্টের আদেশে গোটা আস্থা ভোট প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রসারণ করতে বলা হয়েছে। কোর্টের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, আস্থাভোটে বিলম্ব হলে ঘোড়া কেনাবেচার প্রশ্ন এসে যায়। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা রাওসাহেব দানভে বলেন, “দল সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে সম্মান করে। সেই মতই আস্থা ভোট হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই বিজেপির কোর গ্রুপের বৈঠক বসে রাত নটায়। গাওয়ার ক্লাবে বিধায়কদেরকে নিয়ে আরও একটি বৈঠক করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বিজেপির ওই বৈঠক থেকে। আবার সুপ্রিম কোর্টের সুপ্রিম নির্দেশ পাওয়ার পরই উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন।

বিরোধী দলের তরফ থেকে দুপুরবেলা মুম্বাইয়ের সফিটেল হোটেলে শিবসেনা- এনসিপি নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। যে বৈঠকে হাজির ছিলেন শরদ পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল, জয়ন্ত পাটিল, সুপ্রিয়া সুলে, উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে, সঞ্জয় রাউত প্রমুখ বলে খবর।

বস্তুত, এর আগে থেকেই এনসিপি, কংগ্রেস এবং শিবসেনা তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, 162 জন বিধায়কের সমর্থন তাদের কাছে রয়েছে। যদিও এই দাবিকে কোনোভাবেই মানতে রাজি নয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তাদের তরফ থেকে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, বিরোধীদের ঝুলিতে 137 জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 288 সদস্য বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গেলে অন্তত 145 জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন রয়েছে। তবে সমগ্র পরিস্থিতি যেভাবে ক্রমেই পাল্টাতে শুরু করছে, তাতে আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনীতির প্রেক্ষাপট কি হতে চলেছে! তা নিয়েই সংশয় রয়েছে বিশ্লেষকদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!