এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুরুর দিনেই ধ্বংসের ছবি, পুরানোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মমতার সৈনিকরা!

শুরুর দিনেই ধ্বংসের ছবি, পুরানোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মমতার সৈনিকরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –শুধু বাংলার মধ্যে আর সীমাবদ্ধ থাকা নয়। এখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তৃতি লাভ করানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় যে দলটাকে কার্যত আতস কাঁচ দিয়ে দেখা যেত এবং কটাক্ষ করত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, আজকে সেই রাজনৈতিক দলগুলো হয়ত বা বাতিলের খাতায় চলে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা অবলম্বন করে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর এবার সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ছাপ ফেলার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই মতো করে দলীয় সংগঠনে নতুনত্ব আনার তৎপরতা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর তার মাঝেই এবার সম্পূর্ণরূপে কর্পোরেট ধাঁচে আসতে চলেছে তৃণমূলের রাজ্য দপ্তরের কার্যালয়ে। এতদিন তোপসিয়ায় তৃনমূল ভবন বলতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সর্বস্তরের কাছে এটা একটা বাড়তি আবেগ ছিল। কিন্তু এবার ভাঙ্গা হতে চলেছে তৃণমূলের সেই রাজ্য দপ্তর। যেখানে নতুনরূপে সামনে আসতে চলেছে তৃণমূলের এই দলীয় কার্যালয়। দলের বহড় বাড়ছে। কর্মীদের আনাগোনা বাড়ছে। তাই নতুন রূপে পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত দলের একাংশ।

এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই পার্টি অফিসের সঙ্গে যুক্ত থাকা তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কাছে এই পার্টি অফিসটি ভেঙে যাওয়া নিয়ে আবেগ মাথাচাড়া দিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে নতুনকে স্বাগত জানাতে হবে, তা স্বীকার করে নিতে দেখা যাচ্ছে তাদের।সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন অর্থাৎ আগামী পয়লা জানুয়ারি একেবারে নতুন বছরের শুরুতে নতুন রুপে দেখা দেবে তৃণমূল ভবন। ইতিমধ্যেই এই পুরনো তৃণমূল ভবনে বেশ কিছু জায়গা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কর্মীদের বসার ঘর থেকে শুরু করে নেতৃত্বদের বসার ঘর, নতুন রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে।

সেক্ষেত্রে এই নতুন রূপে দলীয় কার্যালয় কবে সামনে আসবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে নেতা কর্মীদের মধ্যে। তবে বেশি সময় না নিয়ে সামনের বছরের একদম প্রথম দিনেই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সময় যাতে নতুন রূপে এই তৃণমূল ভবন খুলে দেওয়া হয়, তার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দলের একাংশ। এক্ষেত্রে এতদিন তৃণমূল ভবনে বেশ কিছু পুরনো ছোঁয়া থাকলেও, এবার তাকে সরিয়ে দিয়ে সম্পূর্ণ কর্পোরেট ধাঁচে তৈরি হবে শাসকদলের এই কার্যালয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তৃতির ক্ষেত্রে দলীয় কার্যালয়ে যা যা থাকা প্রয়োজন, সেই সমস্ত কিছু রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ক্যান্টিন থেকে শুরু করে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা, সমস্ত ক্ষেত্রেই থাকছে নতুনত্ব। স্বভাবতই দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে তৃণমূল ভবন দেখে অভ্যস্ত দলের পুরোনো দিনের সৈনিকরা, সেখানে বদল দেখে তাদের মনেও কিছুটা আবেগ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।দলের অনেক বর্ষিয়ান নেতৃত্ব বলছেন, তৃণমূল নামক চারাগাছটি আজ বড় হতে হতে বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এখন তা মহীরুহের আকার নিচ্ছে। তবে এই জায়গায় আসতে কম লড়াই করতে হয়নি।

এক্ষেত্রে দলের তোপসিয়ার কার্যালয় সকলের কাছেই আবেগ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তো সব কিছুর পরিবর্তন করতে হয়। তাই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দল যখন ছাপ ফেলার চেষ্টা করছে, তখন পার্টি অফিসে এই নতুনত্ব, যথেষ্ট স্বাগত জানানোর মতো বিষয়। তবে তৃণমূল ভবনের পুরোনো রুপকে তথ্যচিত্র আকারে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে পুরনোকে যেন কেউ ভুলে না যায়, সেই বিষয়টি সংগ্রহ করার চেষ্টা শুরু করছেন তিনি। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন দলের আপামর কর্মী-সমর্থকরা। তবে নতুন আকারে কর্পোরেট ধাঁচে তৃণমূলের এই পার্টি অফিসটি দলীয় নেতা কর্মীদের কাছে যে যথেষ্ট উৎসাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন নবরূপে এই তৃণমূল ভবন আগামী বছরের শুরুতেই সকলের সামনে আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!