প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার মীমাংসা হয়নি এখনও। সেখানে প্রায় তিন মাস জেলে থাকার পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। আর সেইসঙ্গে যারা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে সুশান্ত সিং রাজপুতের দুই দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর করতে দেখা যায় তাঁকে। যেখানে বলা হয়, সুশান্ত সিং রাজপুতকে ভুয়ো প্রেস্ক্রিপশন দিয়েছেন তারই দুই দিদি এবং তারাই কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে মিলে এই প্রেসক্রিপশনটি তৈরি করেছেন।

সেখানে দিল্লির এক চিকিৎসকের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, তিনি একজন কার্ডিয়লজিস্ট হওয়ার সত্তেও পেশেন্টকে এমন নিষিদ্ধ ওষুধ দিয়েছেন। বস্তুত, তদন্তে দেখা যায়, অভিনেতাকে যে ওষুধগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেই ওষুধগুলি এতটাই মারাত্মক যে, সঠিক ডোজ এবং পরিমাণ মত না খেলে দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ তৈরি হতে পারে। আর এমনই অভিযোগ নিয়ে বান্দ্রা থানায় রিয়া চক্রবর্তী এফআইআর দায়ের করেছিলেন বলে জানা যায়। যার বিরুদ্ধে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের দুই দিদি।

তবে সেই পিটিশন বাতিল করারও আর্জি জানিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী। কোর্টের কাছে সেই আবেদন জানিয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদির আইনজীবী। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় মুম্বই পুলিশ। তবে সেপ্টেম্বর মাসে করা এফআইআরের ভিত্তিতে কাল অবশেষে সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মামলার শুনানি শেষ হলেও রায় সংরক্ষিত রাখতে দেখা গেছে আদালতকে।

বস্তুত, রিয়া চক্রবর্তীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি প্রমাণ স্বরূপ হোয়াটসঅ্যাপের একটি তথ্য সামনে এসেছিল। সেখানে সুশান্তের দিদিদের পালটা দাবি ছিল যে, সেই অভিযোগের ভিত্তি এক চিকিৎসকের দেওয়া একমাত্র একটি প্রেসক্রিবশন। তাই এই অভিযোগের কোনো কারণ নেই। তবে সবদিক বিবেচনা করে শুনানির শেষে বম্বে হাইকোর্ট এদিন এই মামলার সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে।