এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অধ্যায় কার্যত মুকুল-পর্বের রিপিট টেলিকাস্ট? বিধানসভার আগে হতাশাগ্রস্ত তৃণমূলীরা?

শুভেন্দু অধ্যায় কার্যত মুকুল-পর্বের রিপিট টেলিকাস্ট? বিধানসভার আগে হতাশাগ্রস্ত তৃণমূলীরা?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিল মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলনেত্রী থাকলেও সমস্ত সুবিধা অসুবিধা দেখভাল করতেন সেই মুকুলবাবু। কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি যে, সেই মুকুল রায়কেও তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে হবে। কিন্তু কালের নিয়মে প্রায় তিন বছরের বেশি সময় আগে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর সময় তিনি যে সমস্ত পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, এবার সেই একই পদ্ধতি আবার দেখা দিতে শুরু করেছে তৃণমূলের বর্তমান শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে।

দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো থেকে শুরু করে সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া, সমস্ত কিছুই করতে দেখা গিয়েছিল একসময়ের মুকুল রায়কে। যার পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আর এবার শুভেন্দু অধিকারী সরকারের নিরাপত্তা রক্ষী যেমন প্রত্যাহার করলেন, ঠিক তেমনই ছেড়ে দিলেন মন্ত্রীপদ। আর এর পরেই তিনি মুকুল রায়ের পদ্ধতি মতই চলছেন। আর পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে তিনি মুকুল রায়ের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত বিজেপিতে যোগদানের দিকেই এগোতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় তৃণমূলের চাণক্য ছিলেন এই মুকুল রায়। সংগঠন সামলানো থেকে শুরু করে বিরোধী দল ভাঙ্গানো, সমস্ত কিছুই করতেন তিনি। কিন্তু সেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমশ বেড়েছে। এদিকে মুকুল রায় যখন বিজেপিতে যোগ দেবেন দেবেন বলে মনস্থির করেছেন বা জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে একের পর এক নেতা তাকে মীরজাফর বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন।

আর বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন দলের দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তৃণমূল নেতারা একই ভাবে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন। যেখানে তিনি দাবি করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কারো কোনো দাম নেই। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়ার পর তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের কর্মীরা ফেসবুকে পোস্ট করতে শুরু করেছেন, আমরা দিদির সঙ্গে।

অর্থাৎ দাদার অনুগামীরা যখন প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে, তখন তারা যে তাতে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন, তা প্রমাণ করে দিচ্ছেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই দাবি করছেন বিশ্লেষকরা। স্বাভাবিকভাবেই গোটা পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে মুকুল রায় দল ছাড়ার আগে যেরকম পরিস্থিতি তৃণমূলে তৈরি হয়েছিল, ঠিক একই পরিস্থিতি শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকদের দাবি, তৃণমূল এখন শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব বুঝতে পারছে না। কিন্তু মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পর একের পর এক নেতাকে যখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে ছিলেন, তখন চাপে পড়ে ছিল ঘাসফুল শিবির। তাই এবারে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, তাকে গুরুত্ব না দিয়ে ক্রমশ তৃণমূলের পক্ষ থেকে নাম না করে তাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃনমূল কংগ্রেসের সবথেকে বেশি জনপ্রিয় শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করেন, তাহলে তার হাত ধরে অনেকেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই আশঙ্কা কার্যত ফিকে। আর তাই তো তারা কার্যত উষ্মা বাড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনা না করে উল্টে তাকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। যার ফলে শুভেন্দু বাবুর বিজেপিতে যোগদানের রাস্তা আরো প্রশস্ত হচ্ছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদি সত্যি সত্যিই শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর যৌথ জুটিতে কার্যত বেসামাল হয়ে পড়বে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বলে দাবি বিশ্লেষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। যেভাবে মুকুল রায়ের সময়ের মতই শুভেন্দু অধিকারীর সময় ও পরিস্থিতির মিল দেখা যাচ্ছে, তাতে তার দলত্যাগ শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলে মত পর্যবেক্ষকদের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!