এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের উপর অতিরিক্ত স্নেহই কি কাল হল তৃণমূলের জন্য? শুভেন্দুর ক্ষোভ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

অভিষেকের উপর অতিরিক্ত স্নেহই কি কাল হল তৃণমূলের জন্য? শুভেন্দুর ক্ষোভ নিয়ে বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে দলের অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমান অবস্থা অনেকটা ধৃতরাষ্ট্রের মত। অতীতে মহাভারতের ধৃতরাষ্ট্র যেমন স্নেহের জেরে অন্ধ হয়ে গিয়ে সমস্ত কিছু দুর্যোধনকে সঁপে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অন্ধ প্রীতি দেখাতে শুরু করেছেন। যার ফলে দলের লড়াই করা নেতা কর্মীরা এখন কিছুটা হলেও পেছনের সারিতে। আর তার কারণেই এখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাপটে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতারা দলের কার্যত পেছনের সারিতে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করছেন সমালোচক মহল।

ইতিমধ্যেই কোচবিহারের মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত, নাম না করে প্রশান্ত কিশোরের টিমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের দলে বাড়বাড়ন্তের কারণে তারা যে অনেকেই ক্ষুব্ধ, তা কার্যত পরিষ্কার। আর সবথেকে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। কেননা শুভেন্দুবাবু যেভাবে দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন এবং তিনি ভবিষ্যতে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে, তাতে তার দলত্যাগ যদি বাস্তব হয়, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে আগামীদিনে ক্ষমতায় ফেরা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে। কেননা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর যদি তৃণমূল কংগ্রেসে সবথেকে বেশি কারও জনপ্রিয়তা থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু লড়াই করে বামেদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে শুভেন্দুবাবু দলকে প্রতিষ্ঠা করলেও, বর্তমানে তিনি দলে গুরুত্ব পাচ্ছে না। সেদিক থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো হওয়ার সুবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের অলিখিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। যার কারণেই শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা এখন ক্ষুব্ধ। শুভেন্দু অধিকারী নিজের মত করে অরাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে শুরু করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত অন্ধস্নেহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লালন করতে শুরু করেন এবং শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতারা দলে গুরুত্ব না পান, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। সব মিলিয়ে নিজেদের হিতের কথা চিন্তা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাস্তব পরিস্থিতি কতটা উপলব্ধি করেন এবং দলীয় স্বার্থে কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!