চাষীদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার ক্ষেত্রে এতদিন সরকারের কাছে ফড়েদের নিয়ে নানা অভিযোগ আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেই ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করা হয়। এতদিন সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করার পর তার টাকা সরাসরি চাষীদের ব্যাংক একাউন্টে পাঠানো হলেও এবার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সেই নিয়মকে বদলে সরাসরি চাষীদের একাউন্ট পে-ই চেক প্রদানের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।

যার জেরে খুশি সকলেই। একাংশের মতে, সরকারের এই উদ্যোগে ফড়েদের বাড়বাড়ন্ত যেমন অনেকটা কমবে এবং ঠিক তেমনি কৃষকেরা অনেকাংশে লাভবান হবেন। সূত্রের খবর, সরকারের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আগামীকাল মুর্শিদাবাদ জেলায় চেকের মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে এই ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর সেই প্রক্রিয়া করণের আগেই বৃহস্পতিবার বিকেলে বহরমপুর সার্কিট হাউসে জেলার প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসলেন রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক পি উলাগানাথন, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল, জেলার খাদ্য নিয়ামক অরবিন্দ সরকার সহ শাসকদলের বিধায়ক এবং রাইস মিলের মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। চলো যাই, এদিনের এই বৈঠক থেকেই জেলা প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ফড়েদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

অন্যদিকে জেলার ধানক্রয় কেন্দ্র থেকে কোনোমতেই চাষিরা যাতে ফিরে না যান সেজন্য জেলা প্রশাসনকে সবরকম ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই বৈঠকের পর মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল বলেন, “ধান কেনা নিয়ে ফড়ে বা দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে পরিবহনমন্ত্রী কড়া পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। খাদ বা ভিজের অজুহাত যে আর মানা হবে না তাও বলে দিয়েছেন তিনি।”

সব মিলিয়ে এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় চেকের মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই জেলা প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক করে দালালরাজ রোখার জন্য কড়া নিদান দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী।