এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুললেন লক্ষ্মণ শেঠ

শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় তুললেন লক্ষ্মণ শেঠ

বাম আমলে পূর্ব মেদিনীপুরের বেতাজ বাদশা ছিলেন তিনি। তাঁর অঙুলি হিলনেই হাওয়া বইত জেলায়। মোদ্দা কথা হল,তিনিই ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের শেষ কথা। জ্যোতি বসুর জামানা থেকে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ক্ষমতা ক্রমশ বেড়েছে লক্ষণ শেঠের। একথা অস্বীকার করেনি বামফ্রন্টও।

কিন্তু রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পর থেকেই লক্ষণ শেঠ গুরুত্ব হারিয়েছেন ক্রমশ জেলায়। ক্ষমতা লোপ পেয়েছে তাঁর স্ত্রী তমালিকা পান্ডা শেঠেরও। ২০১৪ সালে সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বিজেপিতে গিয়ে মাথা গোঁজেন হলদিয়ার এই প্রাক্তণ সাংসদ। কিন্তু রামের ঘরে সংসার করতে পারলেন না লক্ষণ!

বিজেপিতে থাকাকালীন সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি তিনি। তাছাড়া তাকে নিয়ে নানা বিতর্কও তৈরি হয়। পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা প্রথম থেকেই তাকে ভালোভাবে মেনে নেননি। ফলত বিচ্ছেদ হওয়ারই ছিল। এবছরই তাকে বিজেপি থেকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। ফের অস্তিত্ব সংকটে লক্ষণ শেঠ। উপায় না পেয়ে রাজ্যরাজনীতিতে গুরুত্ব বজায় রাখতে এবার তৃণমূলের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

কিন্তু একসময়ের কট্টর তৃণমূল বিরোধী নেতাকে দলে ঠাঁই দিতে নারাজ শাসকদল। ‘নন্দীগ্রাম গনহত্যার নায়ক’ কে কোনোভাবেই দলে নেওয়া যাবে না,এমন কথা স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি সাফ কথায় জানিয়েছেন, “উনি (লক্ষ্মণ শেঠ) বলছেন নন্দীগ্রামের ঘটনায় বুদ্ধবাবুর সরকার দায়ী। কিন্তু মানুষ তো সামনে ওনাকেই দেখেছে। আমি কখনই তা ভুলে যেতে পারি না, ভুলবও না। নন্দীগ্রামের মানুষ যে আস্থার উপর দাঁড়িয়ে লড়াই সংগ্রাম চালিয়েছে, সেই আস্থা থেকে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনও বিচ্যুতি হবে না। আমার কোনও পরিবর্তন হবে না”।

শুধু তাই নয়,লক্ষণ শেঠ চাইলেও যে তিনি তাঁর ধারেকাছেও লক্ষণ বাবুকে ঘেষতে দেবেন না,একথাও সম্প্রতি আগে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।বারবার তৃনমূলের তরফ থেকে এরকম প্রতিক্রিয়া পেয়ে রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রাক্তন দুর্দন্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে তাঁর বক্তব্য, তৃনমূল তাকে দলে নিতে চাইলেও সেই কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে শুধুমাত্র শুভেন্দু বাবুর জন্যে। তিনি বললেন,“শুভেন্দু অধিকারী আমার ফোনই ধরে না। ও রাজি হলেই তৃণমূল আমাকে নেবে।” সাম্প্রতিক কালে রেজ্জাক মোল্লা,উদয়ন গুহ-এর মতো প্রতাপশালী বাম নেতারা লালশিবির ছেড়ে জোড়া ফুলের পতাকা তুলে নিয়েছেন।

শুধু তৃণমূলে যোগ দেওয়া নয়,শাসকদলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়ও ছিনিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। লক্ষণ শেঠও পূর্বসুরিদের পথে হেঁটে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে চাইছেন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর অনুমতি ছাড়া এটা যে কোনোদিনও সম্ভব নয়,তা ভালো করেই বুঝে গিয়েছেন লক্ষণ শেঠ। এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!