এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু দল ছাড়লেও কোনো ফ্যাক্টর হবে না – সভায় দাবি অনুব্রতর, জেনে নিন

শুভেন্দু দল ছাড়লেও কোনো ফ্যাক্টর হবে না – সভায় দাবি অনুব্রতর, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে রাজ্য জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। আর এমত পরিস্থিতিতে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন, তাহলে তৃণমূল ভেঙে খান খান হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন সমালোচক মহলের একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যেখানে শুভেন্দুবাবু দলে ছিল এবং আছে বলে তিনি দল ছাড়লেও যে কোনো ফ্যাক্টর হবে না, তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ছাড়েন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়বে।

কেননা এই শুভেন্দু অধিকারী অনেক জেলাতেই মুশকিল আসানের কাজ করেছেন। প্রায় প্রতিটি জেলার সঙ্গেই তার পৃথকভাবে সংযোগ রয়েছে। তাই তিনি দলত্যাগ করলে তার পথ অনুসরণ করে অনেকেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগদান করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে আশঙ্কার কারণ হিসেবে নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর তার মধ্যেখানেই যেভাবে অনুব্রত মণ্ডল শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লেও কোনো ফ্যাক্টর হবে না বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন, তাতে নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

সূত্রের খবর, বুধবার বীরভূমের আহমেদপুরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ জেলার নেতৃত্বরা। আর সেখানেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে জল্পনা চলছে, সেই ব্যাপারে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন অনুব্রতবাবু। শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক সভা নিয়ে তিনি বলেন, “আমিও পতাকা ছাড়া রাজনীতি করি। অনেক মিটিং আমি পতাকা ছাড়াই করি। এটা কোনো ব্যাপার নয়।” তবে শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস কি অসুবিধের মুখে পড়বে না!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সেটা পরে দেখা যাবে। অনেকেই তো গিয়েছে। কোনো ফ্যাক্টর হয়েছে!” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী যদি দলবদল করেন, তাহলে ব্যাপারটিকে যে তিনি অতটা গুরুত্ব দিতে চাইছেন না, তা নিজের মন্তব্যের মধ্য দিয়েই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন অনুব্রত মণ্ডল। অনেকে বলছেন, অনুব্রতবাবু সহজ সত্যটা বুঝতে না পারলেও তৃণমূল নেতৃত্ব খুব ভালো করেই উপলব্ধি করেছে, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়লে ঠিক কী কী হতে পারে! তাই এখন অবস্থা বেগতিক দেখে তারা শুভেন্দুবাবুর মান ভাঙানোর জন্য উদ্যত হয়েছে।

কিন্তু অনুব্রতবাবু এই বাস্তব সত্যটি বুঝতে না পেরে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করছেন শুভেন্দুবাবুর ঘনিষ্ঠ অনেকে। তবে অনেকের কাছে এটাও আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তৃণমূল নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে সক্রিয় করবার জন্য এখন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, যেভাবে অনুব্রত মণ্ডল তাকে নিয়ে একটি মন্তব্য করলেন, তাতে কি শুভেন্দুবাবু ক্ষিপ্ত হয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেবেন! তা জোরালো আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

এদিকে এদিনের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্য নিয়েও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অনুব্রত মণ্ডল। কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, বাংলাকে গুজরাট বানিয়ে দেওয়া হবে। এদিন সেই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বাংলার বাইরে থেকে হিন্দিভাষী লোক এনে কোনো লাভ হবে না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, নজরুলের বাংলায় হিন্দি ভাষীরা শাসন করবে, তা এখানকার মানুষরা মেনে নেবে না। দিলীপ ঘোষ বলেছে বাংলাকে গুজরাট বানাবো। মানে এখানে দাঙ্গা হবে, মানুষ মারা যাবে। এখানে তা করা যাবে না। গুজরাটের লোক এখানে এসে শাসন করবে, তা হতে দেওয়া যাবে না। বিজেপি কি চাইছে, মানুষ তা বুঝে গিয়েছে।”

অর্থ্যাৎ 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনার মাঝেই যেমন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন অনুব্রত মণ্ডল, ঠিক তেমনই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি। যা ব্যাপক শোরগোলের সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!