এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপিকে শিক্ষা দিয়ে দুই হেভিওয়েটকে মিলিয়ে দিতে মমতার ভরসা সেই শুভেন্দুই? বাড়ছে জল্পনা

বিজেপিকে শিক্ষা দিয়ে দুই হেভিওয়েটকে মিলিয়ে দিতে মমতার ভরসা সেই শুভেন্দুই? বাড়ছে জল্পনা


একদা লালদুর্গ দক্ষিণ দিনাজপুর ২০১৪-তে তৃণমূলের দখলে আসে – সেখান থেকে সাংসদ হন প্রখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু, তারপরেই ক্রমশ শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিতে শুরু করে এই জেলায়। ২০১৬-তে যথেষ্টই ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করতে হয় ঘাসফুল শিবিরকে। কিন্তু, তারপরেও হুঁশ ফেরে নি জেলা নেতাদের! আর তৃণমূলকে এর চরম মূল্য দিতে হয় ২০১৯-এ এসে। বালুরঘাট আসন থেকে হেরে যান সাংসদ অর্পিতা ঘোষ।

আর তারপরেই এই জেলার কার্যত তৃণমূলের সর্বেসর্বা বলে পরিচিত বিপ্লব মিত্রকে দল ছেড়ে যাওয়ার ‘পরামর্শ’ দেন তৃণমূল নেত্রী। বিপ্লববাবুও গুটিগুটি পায়ে যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। আর জেলা নেতাদের নিয়ে কার্যত বীতশ্রদ্ধ তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেয় ‘বহিরাগত’ অর্পিতা ঘোষকে। অর্পিতাদেবী দায়িত্ব নিয়েই সংগঠনের হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন – যার পুরস্কারও পেয়েছেন হাতেনাতে।

লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও, তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়ে একটাই প্রশ্ন – ‘সাংসদ’ অর্পিতা ঘোষ জেলা সভাপতি হিসাবে কতটা সময় দিতে পারবেন। ফলে, এই অবস্থায় বর্ষীয়ান শঙ্কর চক্রবর্তীকে দায়িত্বে দেখতে চাইছেন পুরোনো তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু, শাসকদল দক্ষিণ দিনাজপুরে এবার বড়সড় এক ‘শিক্ষা’ দেওয়ার পরিকল্পনায় আছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শঙ্করবাবুকে মুখ করে যদি অধুনা বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রকে ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে বিজেপির পালের হাওয়া সহজেই কেড়ে নেওয়া যাবে। জেলাজুড়ে জল্পনা বিপ্লববাবু বিজেপিতে গিয়ে নাকি খুব একটা খুশি নন। বিশেষ করে রাজ্য কমিটি রদবদলের পরে দেখা গেছে, বিপ্লববাবুকে কোনো পদই দেওয়া হয় নি। এছাড়াও তাঁর অনুগামীরা আশা করেছিলেন উত্তরবঙ্গের জন্য তাঁকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে। বাস্তবে সেটাও হয় নি।

আর তাই দক্ষিণ দিনাজপুরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সম্মানজনক পুনর্বাসন পেলে বিপ্লববাবুর অনুগামীরা তৃণমূলে ফিরে যেতে ইচ্ছুক। আর অনুগামীরা ফিরে গেলে নেতাও কি একই ভাবনায় ভাবিত হবেন না? উঠছে প্রশ্ন।আর যদি তেমন কিছু বাস্তবে হয় তবে, অর্পিতা ঘোষ, শঙ্কর চক্রবর্তী, বিপ্লব মিত্র – এত কঠিন সমীকরণ মেলাবেন কে? জেলা জুড়ে জল্পনা – এর আগে বহু জেলাতেই ম্যাজিক দেখানো শুভেন্দু অধিকারীই হয়ে উঠতে পারেন সেই মুশকিল আসনের জাদুকর।

ফলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন – শুভেন্দুবাবুকে জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হোক। তাঁর নিজস্ব একটা ক্যারিশ্মা আছেই – ফলে অর্পিতা ঘোষ যতটা ঘর গুছিয়েছেন, সেটাকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে দেবেন। অন্যদিকে শংকর চক্রবর্তীকে দিয়ে পুরোনো নেতা-কর্মীদের মনের ক্ষোভ প্রশমন করা যাবে। আর সর্বশেষ, বিপ্লব মিত্রের অনুগামীদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে হয়ত ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরিয়ে আনা যাবে। আর সত্যিই যদি এই অসাধ্যসাধন সম্ভব হয় – তাহলেই নাকি একুশের নির্বাচনে এই জেলায় বিজেপিকে নাকি উচিৎ ‘শিক্ষা’ দেওয়া যাবে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!