এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খড়্গপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ “বিক্ষুব্ধ” বিজেপি প্রদীপ পট্টনায়কের! সমীকরণ পাল্টাচ্ছে?

খড়্গপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ “বিক্ষুব্ধ” বিজেপি প্রদীপ পট্টনায়কের! সমীকরণ পাল্টাচ্ছে?


 

প্রথম থেকেই খড়্গপুরে বিজেপির প্রার্থী নিয়ে দলীয় স্তরে অসন্তোষ ছিল। বিজেপির দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র বলে পরিচিত খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে অবশেষে দিলীপ ঘোষের নির্বাচনী এজেন্ট বলে পরিচিত প্রেমচাঁদ ঝাকেই এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়। আর তারপর থেকেই প্রেমচাঁদবাবুর বিরুদ্ধে বিজেপির মধ্যে আড়াআড়িভাবে দ্বিধা বিভক্ত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে।

বিজেপির দীর্ঘদিনের নেতা বলে পরিচিত প্রদীপ পট্টনায়েক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান। তিনি দাবি করতে থাকেন, তিনিই প্রকৃত বিজেপি কর্মী। তাই বিজেপি নেতা কর্মীরা যেন তাকে সমর্থন করেন। এতে কিছুটা হলেও বিপাকে পড়ে গেরুয়া শিবির। আর এবার প্রচারের শেষ দিনে খড়গপুর উপনির্বাচনের এক নতুন সমীকরণ সামনে চলে এল।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারে দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী প্রেমচাদ ঝাকে বিপাকে ফেলতে নির্দল হয়ে দাঁড়ানো প্রদীপ পট্টনায়কককে প্রকৃত বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী। আর শেষদিনের প্রচারে এই ব্যাপারে সেই শুভেন্দুবাবুকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না সেই প্রদীপ পট্টনায়েক। জানা যায়, শনিবার এই খড়গপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল। আর শেষ দিনের এই প্রচারে রীতিমতো হেভিওয়েটদের নিয়ে এসে ঝড় তুলতে দেখা গেল শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই।

এদিন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের হয়ে প্রচার করেন তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, সৌমেন মহাপাত্র সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাদ ঝার হয়ে প্রচার করতে দেখা যায় এখানকার ভূতপূর্ব বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ অন্যান্যদের। পাশাপাশি এদিন শেষ মুহূর্তের প্রচারে সামিল হন বিজেপির বিদ্রোহী নেতা বলে পরিচিত নির্দল প্রার্থী প্রদীপ পট্টনায়েক।

এদিন রোড শো করার পাশাপাশি এক দলের হেভিওয়েট নেতা অন্যদলকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করেন। তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, “একজন পাগলকে আপনারা চার বছর সহ্য করেছেন। যিনি গরুর দুধের সোনা পান, এনআরসি নিয়ে কথা বলেন, সবাইকে ভাগিয়ে দেব বলেন, তিনি কোনোদিন খড়গপুর নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু প্রদীপ সরকার যখনই কলকাতা গিয়েছেন, আমাদের কাছে শহরের উন্নয়ন নিয়ে দরবার করেছেন। আবকি বার প্রদীপ সরকার।” একইভাবে জয়ের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাব পোষণ করতে দেখা যায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপির দিলীপ ঘোষ এদিন দলীয় প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝার সমর্থনে প্রচারে এসে তিনি বলেন, “এখানে বিজেপি জিতছে। আমি খড়্গপুরের মানুষের কাছে আবদার করেছি, এবার বিজেপিকে এক লক্ষ ভোট দিতে হবে। এদিন প্রচার শেষে মনে হল সেটা হয়ে যাবে। খড়গপুর বিজেপি ছিল, আছে, থাকবে। ফিরাদ হাকিম ঠিকই বলেছেন, আমি পাগল বলেই সবাই আমাকে দেখে পাগল হন।”

তবে বিজেপির দিলীপবাবু এই কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও যেভাবে এখানে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে তাদের দলের প্রদীপ পট্টনায়ক দাঁড়িয়ে পড়েছেন, তাতে বিজেপি যে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত অনেকেই। তার উপরে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারী সেই প্রদীপবাবুকে প্রকৃত বিজেপি কর্মী বলায় প্রদীপবাবু যেভাবে শুভেন্দু বাবুকে ধন্যবাদ জানালেন, উপনির্বাচনের আগে জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অনেকে বলছেন, তাহলে কি বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রদীপবাবু প্রার্থী হওয়ায় তিনি যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ দিলেন, তাতে কি বিজেপির অনেক ভোট তৃণমূলের দিকে যেতে চলেছে! আর এতেই কি তৃণমূল প্রার্থী শেষ হাসি হাসবেন! এখন এই সমস্ত প্রশ্নই রাজনৈতিক মহলের অন্দরমহলে ঘুরতে শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয়, ভোট কাটাকুটিতে কে শেষ হাসি হাসবে! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!