এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মালদা দক্ষিণে শুভেন্দু অধিকারীর ‘অফার’ থাকলেও এই হেভিওয়েট চান ‘দিদি কনফার্ম’ করুন!

মালদা দক্ষিণে শুভেন্দু অধিকারীর ‘অফার’ থাকলেও এই হেভিওয়েট চান ‘দিদি কনফার্ম’ করুন!

মালদা জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক যতোই তাকে দক্ষিণ মালদায় লোকসভা ভোটের প্রার্থী হতে বলুক না কেন,তিনি কিন্তু দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)-তেই ভরসা রেখে বসে আছেন। কথা হচ্ছে,জেলা তৃণমল হেভিওয়েট নেতা আবু নাসের খান চৌধুরীর। সম্প্রতি জেলার প্রশাসনিক কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে এবং দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করে তুলতে মালদা সফরে এসেছিলেন জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী।

ওদিন রাতেই প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে কোতয়ালি খান চৌধুরীর বাসভবনে যান তিনি। বেশ অনেকক্ষণ ধরেই আবু নাসের খান (লেবু)-র সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরবর্তীকালে একটি সাক্ষাৎকারে এই বৈঠক সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,”শুভেন্দুবাবু আমার বাড়িতে এসে আমার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন। তিনি আমাকে লোকসভা ভোটে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে প্রার্থী করবেন বলেছেন। তবে, দিদি ছাড়া আমি কোনও কাজ করি না। আমাকে যদি দিদি বলেন তবে আমি তৈরি। এখনও দিদির কাছ থেকে আমি সেই বার্তা পাইনি।” তবে এই বৈঠকের ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর তরফ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আবু নাসের খান যদি লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হন তাহলে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে নিজের ভাইয়ের সাথেই। কারণ দক্ষিণ মালদার কংগ্রেসের তরফ থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন জয়ী প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী। এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,প্রতিপক্ষ ভাই হতেই পারে তবে লড়াইটা এখানে ভাইয়ে ভাইয়ে নয়। মালদার উন্নয়নের স্বার্থে লড়াইয়ের ময়দানে নামা হচ্ছে।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তিনি এটাও দাবী করেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া মালদার উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে দেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক নেত্রী। গত বিধানসভা ভোটে মমতা ব্যানার্জীই দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে দলীয় প্রচারের আর্জি জানিয়েছিলেন আবু নাসের খানকে। গনি খানের অসমাপ্ত কাজ আবু নাসের খান চৌধুরীই একমাত্র সমাপ্ত করতে পারবেন এই বিশ্বাস রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাই এবারও মুখ্যমন্ত্রী বলার পরই তিনি লোকসভা ভোট যুদ্ধে নামবেব বলেই স্থির করলেন।

প্রসঙ্গত, আশির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও লোকসভা ভোটের প্রার্থী হতে প্রস্তুত আবু নাসের খান চৌধুরী। তিনি নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,তাঁর প্রার্থী হতে কোনো অসুবিধা নেই। তিনি নিজেই শিক্ষা জগতের লোক। শুধুমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই মালদার উন্নয়ন সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রথাগত শিক্ষার উপর ভরসা করলে হবে না। কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুলে দিতে ভোকেশনাল শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরলেন তিনি। তিনি সেজন্যই তিনি গনি খান চৌধুরির নামে ইঞ্জিনিয়রিং অ্যান্ড টেকনলজি (GKCIET) তৈরি করেছিলেন।

লোকসভা ভোটে প্রার্থী হলে জেলার কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়াই তাঁর নির্বাচনী প্রচারের প্রধান অস্ত্র হবে,এমনটাই জানালেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা। তবে,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে একদমই মাথা ঘামাতে চান না তিনি। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাড়ি এসে তাকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে গেলেও তিনি এখনো অপেক্ষা করে রয়েছেন দিদির বার্তার জন্যেই। এখন মুখ্যমন্ত্রী কবে আবু নাসের খান চৌধুরীকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হওয়ার বার্তা দেন সেদিকেই চোখ রয়েছে দক্ষিণ মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের।

উল্লেখ্য,আবু নাসের খানের ঘনিষ্ঠমহলের বক্তব্য,দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে খান চৌধুরি পরিবারের বরিষ্ঠ এই সদস্যকে প্রার্থী করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে। গতবার এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন দলের বর্তমান জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু তাতে লাভের লাভ হয়নি কিছু। কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেমের কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল তাকে। তাই এবছর আবু নাসের খানকেই তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভোট-যুদ্ধের ময়দানে চাইছেন আবু নাসেরের অনুগামীরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!