প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তিনি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। কিন্তু তা সত্ত্বেও দল এবং সরকারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা। আর এমত পরিস্থিতিতে এক বছরেরও বেশি সময় আগে ইটাহার চৌরাস্তা এলাকার 34 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাস টার্মিনাস তৈরির কাজ শেষ হলেও, এখনও পর্যন্ত তার উদ্বোধন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ অনেকেই।

তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী সেই বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন না করায় এবার তার দায়িত্ব নিয়ে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ত দপ্তরের 8 বিঘা জমিতে পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে 8 কোটি 35 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। আর সেই অর্থনৈতিক সাহায্যে 2014 সালের ফেব্রুয়ারিতে এই বাস টার্মিনার্স তৈরির কাজ শুরু করে ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতি। সেপ্টেম্বর মাসে এই কাজ শেষ হয়। এরপর এই বাস টার্মিনাস উদ্বোধন নিয়ে আশায় ছিলেন সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একাধিকবার কথা বলে সেই বাস টার্মিনাস উদ্বোধন করার জন্য দিনক্ষণ চাওয়া হয়। তবে তিনি উদ্বোধনের দিন না দেওয়ায় এখন অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। যার ফলে প্রাথমিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আগামী 5 নভেম্বর সেই বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য বলেন, “কখনও সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে, আবার কখনও বা করোনা আবহের জেরে শুভেন্দু অধিকারী আসতে পারেননি। কিছুদিন আগে তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, 2 নভেম্বর তিনি উদ্বোধন করবেন। কিন্তু সেটাও বাতিল হয়েছে। 5 নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বাস টার্মিনাসের উদ্বোধন করবেন বলে রাজ্য সরকার ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে জানিয়েছেন।” কিন্তু কেন তিনি এই উদ্বোধন করেননি?

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব আমাকে ইটাহারে গিয়ে বাস টার্মিনাস উদ্বোধন করার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু ইটাহারে যেতে পারব না জানিয়ে আমি কখনই কাউকে উদ্বোধনের চূড়ান্ত তারিখ দিইনি। মুখমন্ত্রী বাস টার্মিনাসটি উদ্বোধন করবেন কিনা, তা জেলা প্রশাসন বলতে পারবে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী উদ্বোধন না করায় তা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনের দায়িত্ব নিলেন, তাতে নতুন করে গুঞ্জন বাড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।