এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অনুগামীদের “মানভঞ্জনই” কি মমতার নতুন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে?

নতুন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অনুগামীদের “মানভঞ্জনই” কি মমতার নতুন চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃণমূলের অন্দরে দাবি উঠেছিল যে, শুভেন্দু অধিকারীকে দলের রাজ্য সভাপতি করতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পেলেও, দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে আসা শুভেন্দু অধিকারী কেন জায়গা পাচ্ছেন না, তা নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের একাংশের মনে সংশয় বাসা বাঁধতে শুরু করেছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি এবার যোগ্য জায়গা না পান, তাহলে তিনি এমন কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা নিঃসন্দেহে অস্বস্তির কারণ হবে তৃণমূলের কাছে।

একাংশের মনেপ্রাণে বিশ্বাস দানা বেঁধেছিল, বৃহস্পতিবার দলের সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে শীর্ষ কোনো পদ দেওয়া হবে। কিন্তু তেমন তো হয়ইনি, উল্টে যে সমস্ত জেলাতে শুভেন্দু অধিকারী পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেই সমস্ত জেলা সহ গোটা রাজ্যেই পর্যবেক্ষক পদ তুলে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে সেই জেলাগুলো নিয়ে যাতে নিজের মত করে চালানো যায়, তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উদ্যোগ নিয়েছেন।

তবে বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী কে রাজ্যের যে 7 জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার অন্যতম সদস্য করা হয়েছে। কিন্তু এই সামান্য পদ দিয়ে কি তাকে সন্তুষ্ট রাখা যাবে? জানা গেছে, শুভেন্দু অধিকারীকে তেমনভাবে কোনো জায়গা না দেওয়ায় ইতিমধ্যেই তার অনুগামীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে শুরু করেছেন। অনেকেই লিখেছেন, “কর্ম করে কর্মী করে রাখা। সময় হলে বুঝতে পারবেন।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে আবার লিখেছেন, “কাঁথি থেকে কালিম্পং জননেতা কিন্তু একজন।” একাংশের মতে, “তোমারে রুধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে। রাজ্য সভাপতি যোগ্যতার নিরিখে বিচার হোক‌। জঙ্গলমহল থেকে পাহাড়, আওয়াজ দিচ্ছে বারবার, শুভেন্দুদাকেই দরকার।” স্বাভাবিক ভাবেই এখন গোটা ঘটনায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী নিজে দিনকে দিন প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছেন।

এমত পরিস্থিতিতে তাকে চাপে রাখতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে কোর কমিটিতে জায়গা দিয়ে অন্যান্য জায়গা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একাংশের মতে, যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে একের পর এক ফেসবুক পোস্ট পড়া শুরু হয়েছে, তাতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ক্রমশ চাপে পড়বে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জন না করলে চরম অসুবিধায় পড়তে হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কেননা বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দিলেও, তার প্রভাব গোটা রাজ্যে রয়েছে। তাই তাকে যদি এভাবেই গুরুত্বহীন করা হয়, তাহলে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ নিয়ে তৃণমূলের একশ্রেণীর কর্মী-সমর্থকদের এই ফেসবুক পোস্ট, এখন তৃণমূলের কাছে বড় চিন্তার বিষয় বলেই দাবি করছেন বিশ্লেষকরা‌। যদিও বা এই ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “আমি ফেসবুক দেখি না। তাই এই বিষয়ে কিছু বলার নেই। দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা ভালোভাবে পালনের চেষ্টা করি।” সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!