এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দুর, মহাসচিবের সভা এড়িয়ে অন্য সভায় যোগ, বাড়ছে জল্পনা !

দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে শুভেন্দুর, মহাসচিবের সভা এড়িয়ে অন্য সভায় যোগ, বাড়ছে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তিনি তৃণমূলের অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত। হুল দিবসের অনুষ্ঠানে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তিনি অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু পার্থবাবু সেখানে আসলেও, সেই অনুষ্ঠানে কার্যত গরহাজির থাকতে দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীকে। যার বদলে অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন তিনি। আর এই ঘটনা নিয়ে এবার তোলপাড় হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। কেন আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও যেখানে দলের মহাসচিব উপস্থিত থাকলেও, দলের এই হেভিওয়েট নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবারের মত এবারেও ঝাড়গ্রাম গ্রামীনের কেচন্দা প্রাথমিক স্কুলের রাজ্য স্তরের হুল দিবসের অনুষ্ঠান পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। যেখানে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এই অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পার্থবাবু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেও, সেখানে অনুপস্থিত থাকলেন শুভেন্দু অধিকারী।

উল্টে দুপুর একটায় লালগড়ের রামগড় অঞ্চলে হুল দিবসের অন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। সমালোচকদের একাংশ প্রশ্ন করতে শুরু করেন, তাহলে কি দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন শুভেন্দুবাবু? আর তাই দলের মহাসচিব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও, সেখানে আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও সেই অনুষ্ঠান এড়িয়ে কার্যত অন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন তিনি? তাহলে কি দলকে অন্য বার্তা দিচ্ছেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই এই প্রসঙ্গে লালগড়ের রামগড় অঞ্চলে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে আসিনি। আপনাদের নিজের লোক হিসেবে জঙ্গলমহলে বারবার এসেছি। সেই রকম আজকেও আসা। গত বছর হুল দিবসে আমি ও পার্থদা দুটি ভিন্ন জায়গায় ছিলাম। বিতর্কের কিছু নেই। খাস জঙ্গলের উদ্যোক্তারা একমাস আগে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।” এদিকে ঝাড়গ্রামে রাজ্যস্তরের হুল উৎসবে শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, সেখানে তার অনুপস্থিতি নিয়ে কিছুটা হতাশার সুর শোনা গেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ছর গলায়।

তিনি বলেন, “শুভেন্দু এলে ভালো হত। তবে সেও তো একটা কর্মসূচি পালন করেছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যস্তরের হুল উৎসবে শুভেন্দুবাবুর অনুপস্থিতি নিয়ে যে যে কথাই বলুন না কেন, একটা জিনিস পরিষ্কার যে, দলের হেভিওয়েট বর্ষিয়ান নেতা তথা মহাসচিব যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, সেখানে সেই অনুষ্ঠানকে শুভেন্দুবাবু অত সহজে এড়িয়ে যাবেন, এই ব্যাপারটা সহজভাবে নিতে পারছেন না অনেকেই। হুল দিবসে মন্ত্রীদের একাধিক অনুষ্ঠানে থাকতেই পারে।

সেদিক থেকে শুভেন্দুবাবু রামগড় অঞ্চলের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও কেন রাজ্যস্তরের উৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারলেন না! তা নিয়ে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের মধ্যে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। অনেকে বলছেন, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের মধ্যে দলে তাকে শীর্ষ পদ দেওয়া নিয়ে দাবি জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তাই এই পরিস্থিতিতে সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও রাজ্যস্তরের উৎসবে অনুপস্থিত থেকে অন্য একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন কেন, তা নিয়ে নিঃসন্দেহে গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এখন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর হুল দিবসের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতি অন্য কোনো সমীকরণ যুক্ত করে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!