এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের অন্দরের “বিরোধী-গড়ে” ক্রমশ জমি মজবুত করছেন শুভেন্দু অধিকারী? তীব্র জল্পনা তৃণমূলেই!

দলের অন্দরের “বিরোধী-গড়ে” ক্রমশ জমি মজবুত করছেন শুভেন্দু অধিকারী? তীব্র জল্পনা তৃণমূলেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:-সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যস্তরে ব্যাপক রদবদলের পাশাপাশি জেলাস্তরে সংগঠনেও বদলা আনা হয়। তবে সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও, তার দায়িত্ব অনেকটাই কমে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার পর থেকেই দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন একাংশ। সেভাবে সরকারি বা দলীয় অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা না যাওয়ায় জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছে। তবে শুভেন্দুবাবুকে কম দেখা গেলেও তার অনুগামীরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে তার ছবি দিয়ে “আমরা দাদার অনুগামী” বলে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যা নয়া সমীকরণের আভাস দিচ্ছে। কিন্তু এবার বিরোধী গোষ্ঠীর গড়ে রীতিমত মাথাচাড়া দিতে শুরু করলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিম্নচাপ এবং কোটালের কারণে কিছুদিন আগেই শংকরপুরের সমুদ্রবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। প্রায় এক সপ্তাহ আগে সেই বাঁধ মেরামতি করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য প্রশাসন। আর তারপরেই এখন শংকরপুর মৎস্য বন্দর এবং সংলগ্ন এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্টার পড়তে দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই এলাকা তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারী এবং অখিলবাবু একদল করলেও তার সঙ্গে অধিকারী পরিবারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয় বললেই চলে। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে বলে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তার মাঝেই অখিল গিরির খাসতালুকে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট পড়তে দেখা গেল, তাতে শুভেন্দুবাবু বিরোধী গোষ্ঠীর গড়ে হানা দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আশ্চর্যজনকভাবে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার দিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হলেও, স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরিকে কোনোরূপ ধন্যবাদ দেওয়া হয়নি সেই পোস্টারে। যা নিয়ে ক্রমশ বিতর্ক ছড়াতে শুরু করেছে। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা বিরোধী গোষ্ঠীর খাসতালুকে শুভেন্দু অধিকারীকে জায়গা পাইয়া দিতেই এই ধরনের কার্যকলাপ করা শুরু করে দিলেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ধীরেন্দ্র ভূঁইয়া বলেন, “10 বছর ধরে অখিলবাবু বিধায়ক রয়েছেন। অথচ এলাকার সমুদ্রবাঁধ ভাঙ্গা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ করেননি। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পাশে না দাঁড়ালে এলাকায় আরও ক্ষতি হত।” যদিও বা তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির অবশ্য এই ব্যাপারে দায়ী করেছেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক স্বদেশ নায়েককে তিনি বলেন বাঁধ নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখেছিলাম তার ভিত্তিতে তদন্ত করে কাজ শুরু হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক স্বদেশ নায়ক এলাকার কিছু লোককে উস্কানি দিয়ে সব করাচ্ছে যদিও বা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বদেশ বাবু তবে যেভাবে পরিস্থিতি এগিয়ে যাচ্ছে এবং অখিল গিরির বিধানসভা কেন্দ্রে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী কে ধন্যবাদ জানানো হলেও তাতে এই তৃণমূল বিধায়ক কিছুটা হলেও চাপে পড়লেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের মতে, হয় আখিল গিরি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা ঠিক, নয়ত শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত বিরোধী হওয়ায় সেই অখিলবাবুর খাসতালুকে তাকে আরও কোণঠাসা করে দিতেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা এইরকম কাজ করেছেন। তবে এর পেছনে সবথেকে বড় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কাজ করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা এই ব্যাপারে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের সেচমন্ত্রী শুভেন্দু। তাই তার নেতৃত্বে ভালো কাজের জন্য যদি কেউ ব্যানার লাগায়, সেটা সাধারণ মানুষের আবেগ। এর সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই।”

তবে জেলা নেতৃত্বের তরফ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, বাঁধ ভাঙ্গার সাথে সাথেই যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে তৃণমূল বিধায়কের গড়ে তাকে ধন্যবাদ না জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ধন্যবাদ জানিয়ে যে প্রস্তাব দেওয়া হল, তাতে তৃণমূলের অন্দরমহল এখন ব্যাপক শোরগোল পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!