ঘুরে দাঁড়াতে দলীয় নেতাদের গুরুত্ত্বপূর্ণ কয়েকটি পরামর্শ দিলেন শুভেন্দু,অধিকারী, জেনে নিন কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া মেদিনীপুর রাজ্য June 20, 2019 লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 42 এ 42 এর স্লোগান দিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই স্বপ্নকে চূর্ণ করে গেরুয়া শিবির বাংলা থেকে 18 টি আসন দখল করে প্রবল অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের। অন্যদিকে গত 2014 সালে তৃণমূল 34 টা আসন পেলেও এবার প্রবল মোদি ঝড়ে তাদের দখলে এসেছে মোটে 22 টি আসন। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে সেই ফলাফল প্রকাশের পরই দিকে দিকে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে শুরু করেছেন। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। একদা যে জঙ্গলমহল প্রভাবিত এলাকাগুলিতে তৃণমূল তাদের ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বাড়িয়েছিল, এবার সেই জঙ্গলমহলে শক্তি বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। যার ফলে এখানকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেকটাই হতাশ এবং মুসড়ে পড়তে শুরু করেছেন। কিন্তু এবার সেই নেতাকর্মীদের ফের ঘুরে দাঁড় করিয়ে যাতে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করা যায়, তার জন্য দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করার বার্তা দিলেন তৃণমূলের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক বর্ধিত সভায় এসে প্রথমেই লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফল হওয়ার জন্য আত্মসমালোচনার সুর শোনা যায় তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতার গলায়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দলের কিছু কাজে ও নেতাদের কাজ এবং ব্যবহারে কিছু খামতি ছিল। তাই মানুষ আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। আমরা যদি সংশোধন করে ঘুরে দাঁড়াতে না পারি, তাহলে 2021 সালের নির্বাচনেও আমরা জিততে পারব না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এরপরই দলের একাংশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি বলেন, “কেউ অবৈধ কাজ করবেন না। এইসব কাজ যারা করছেন তাদের সঙ্গে আমিও নেই, দলও নেই। কেউ কাউকে বলেনি যে বালি খাদানের সঙ্গে যুক্ত হতে। অনেকেই হেরে যাওয়ার পর এখন হতাশায় ভুগতে শুরু করেছেন। হতাশা ছেড়ে সকলে জেগে উঠুন। 34 থেকে কমে আমাদের আসন 22 হয়েছে। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় চলে এসেছে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। লোকসভার নিরিখে আমরা রাজ্যের 164 টি বিধানসভায় এগিয়ে আছি। এখন আমাদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে।” অন্যদিকে এদিনের সভা থেকে দলের নেতাকর্মীদের নমনীয় হওয়ারও বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের হতাশা ছেড়ে লড়াই করার জন্য আহ্বান জানালেও এই ব্যাপারে পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, যেভাবে সিন্ডিকেট এবং দুর্নীতিতে তৃণমূল দলটা ভরে গেছে, তাতে এরা আর কোনদিনই ঘুরে দাড়াতে পারবে না। তবে রাজনীতিতে শুরু, শেষ বলে কোনো কথা হয় না। আর তাই তো এবার লোকসভায় দলের খারাপ ফলাফলের পর কর্মীদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আপনার মতামত জানান -