এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভরসা সেই শুভেন্দু, এবার বড়সড় দ্বায়িত্ব পেতে চলেছেন মমতার পুরোনো সৈনিক?জেনে নিন

ভরসা সেই শুভেন্দু, এবার বড়সড় দ্বায়িত্ব পেতে চলেছেন মমতার পুরোনো সৈনিক?জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এমনটাই চাইছিলেন তিনি। তার কাজের মাঝখানে যাতে কোনো বাঁধা না আসে, তিনি যাতে খোলা হাতে খেলতে পারেন, নিজের ব্যক্তিত্ব এবং চালচলনে এমনটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘ বাম আমলে লড়াই করে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে তৃণমূলের পতাকা কাঁধে নিয়ে গোটা রাজ্যে আজ তার ব্যাপক বিস্তৃতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে দলের জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক শক্তির দিক দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত তার অনুগামীরা।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শুভেন্দু অধিকারী নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম স্থান দখল করবেন, তা নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। তবে এই সমস্ত কিছুকে কান না দিয়ে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে বরাবর দলের জন্য কাজ করে গেছেন অধিকারী পরিবারের অঘোষিত সম্রাট শুভেন্দুবাবু। যখনই কোনো জায়গায় বিপদ এসেছে, দলের বিরুদ্ধে জনমত গিয়েছে, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ডাক পড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর।

সাম্প্রতিককালে প্রশান্ত কিশোরের নির্দেশে তৃণমূল একাধিক কর্মসূচি পালন করলেও, সেখানে সেভাবে অংশগ্রহণ নিতে দেখা যাচ্ছিল না তৃণমূলের এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। যার ফলে তার দল বদলের জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকেই বলছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে যদি তৃণমূলের দায়িত্ব দেওয়া না হয়, তাহলে তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর দলে তিনি যে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিলে গোটা তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে, তা ভালোই জানে শীর্ষ নেতৃত্ব।তাই এই অবস্থায় এবার শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিলেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গত লোকসভা নির্বাচনে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাকুড়ায় তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। তাই এই সমস্ত জেলায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যাতে ভালো ফল করা যায়, তার জন্য সেখানকার দায়িত্ব দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সী। আর এরপর সোমবার শুভেন্দুবাবু যাতে আরও নতুন করে সেই অঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেন এবং দলকে সেখানে শক্তিশালী করেন, তার জন্য শুভেন্দুবাবুকে বার্তা দেওয়া হয়। আর হঠাৎ করেই শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল এতটা গুরুত্ব দেওয়ায় এখন রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে বেশ কিছু প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, বিপদের সময় শুভেন্দু অধিকারী। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। এই সমস্ত জেলায় বিজেপি প্রভাব বাড়ছে। তাই সেখানে বিজেপির প্রভাব মুক্ত করতে এখন শুভেন্দু অধিকারীকে প্রয়োজন তৃণমূল কংগ্রেসের। আর তাই তাকে এখন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দল সাফল্য পেলে তাকে আবার গুরুত্বহীন করে দেওয়া হবে। অন্যদিকে অপর অংশ বলছে, তৃণমূল ভালোই বুঝতে পারছে দলে শুভেন্দু অধিকারীকে ঠিকমতো গুরুত্ব দেওয়া কারণে তিনি দলের কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না।

এমনকি শুভেন্দুবাবুর দলবদলের জল্পনা তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের অনেক শীর্ষ নেতা নেত্রীর ঘুম উড়তে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি শুভেন্দু অধিকারী দলবদলের মত কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে শুধু তিনিই নন, তার হাত ধরে অনেক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধি এবং কর্মী-সমর্থকরা দলবদল করতে পারেন। যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের পক্ষে খুব একটা লাভবান হবে না বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

তাই সেদিক থেকে শুভেন্দুবাবুর মান ভাঙাতে তাকে বেশ কিছু জেলার দায়িত্ব দিয়ে তাকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু অতীতে যখন তৃণমূল বিপদে পড়েছে, তখন শুভেন্দু অধিকারীকে কাজে লাগিয়েছে। পরবর্তীতে তাকে ভুলে গেছে দল। তাই এবারেও যদি সেই একই কাজ হয়, তাহলে কী হবে! তা নিয়ে শুভেন্দুবাবুর অনুগামীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। ফলে এবার দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথেই দলকে কি নতুন কোনো শর্ত দেবেন শুভেন্দু অধিকারী? দল যাতে ভবিষ্যতে একইভাবে গুরুত্ব দেয়, তার জন্য কি নতুন কোনো কৌশল প্রয়োগ করবেন তিনি! সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!