এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার মন্ত্রী শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন, বাড়ছে ক্ষোভ, অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে!

এবার মন্ত্রী শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়ে উঠছে বড়সড় প্রশ্ন, বাড়ছে ক্ষোভ, অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে!


বর্তমানে লকডাউন কিছুটা হলেও শিথিল হয়েছে। যার ফলে অফিস কাছারি খুলতে শুরু করেছে। তবে দূরদূরান্ত থেকে অফিসে আসা সরকারি কর্মচারীদের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সঠিক মাত্রায় বাস না পাওয়া যাওয়ায় সামাজিক দূরত্ব লঙ্ঘন করেই অফিসে আসতে হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের। যার ফলে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই ব্যাপারে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।

জানা গেছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্প্রতি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য সক্রিয় করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এক সময় রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের সচিব ছিলেন এই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তার পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই বর্তমান সময়ে তাকে কাজে লাগানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 8 জুন অফিস যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যে বাস পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে স্বাভাবিক হয়নি‌ সেই বাস পরিষেবা। ট্রেন এবং মেট্রো বন্ধ থাকায় অফিস যাত্রীদের দ্রুত অফিসে আসতে তৈরি হয়েছে সমস্যা। আর এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীরা দেরি করে অফিসে আসলেও তাদের নামের পাশে লাল কালির দাগ পড়বে না বলে তাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বাসের সংখ্যা পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকায় অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পরিবহন মন্ত্রীর ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

তাদের প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্রসচিবের হস্তক্ষেপে এখন যেভাবে বাস চালানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সরকার চাইলে আগেই বেসরকারি বাস তুলে নিয়ে তা চালাতে পারত। পরিবহন দপ্তর সমস্যা এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে, এখন মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা ব্যাপারটিতে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন বিরোধীরা। যদিও বা নবান্নের পক্ষ থেকে বিরোধীদের এই সমস্ত বক্তব্য খণ্ডন করে পরিবহনমন্ত্রীকে জানিয়েই এই সমস্ত পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এই বাস পরিষেবা নিয়ে সরব হয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “বাসের ভাড়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হল না! মানুষ রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে নাকাল হচ্ছেন। পরিবহনমন্ত্রী কি কাজ করতে চাইছেন না! নাকি তাকে করতে দেওয়া হচ্ছে না! প্রথমে স্বাস্থ্য দপ্তর ব্যর্থ, এখন পরিবহন দপ্তর। সবই মুখ্যমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রদপ্তর করে। এটা কিরকম সরকার!” অন্যদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “প্রথমে অফিস খুলে তারপর মুখ্যমন্ত্রী দুই শিফটের ঘোষণা করেছেন। কিন্তু পরিবহন ঠিক না থাকলে মানুষ কোনো শিফটে আসবেন কি করে! ট্রেন বন্ধ, কলকাতার বাইরের মানুষ আরও অথৈ জলে। পরিবহন দপ্তরের কাজটা কি!” একইভাবে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “সরকার নিজেই অফিস দোকান খুলতে বলছে। অথচ পরিবহন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। অল্প বাসে গাদাগাদি করে লোক যাচ্ছে কিভাবে? কত যাত্রী নিয়ে পরিবহন চলবে, তা নিয়েও এক একবার এক এক রকম ঘোষণা।” আর বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে একের পর এক রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তরকে কটাক্ষ করা হলে, সেভাবে মুখ খুলছে না সরকারপক্ষ। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সরকারের কাছে এখন এইসব দড়ি টানাটানির সময় নেই। বিরোধীরা ভিত্তিহীন চর্চা করতে পারে। পরিবহনকে আলাদা ভাবে দেখা ঠিক হবে না। তা করোনা মোকাবিলায় সামগ্রিক পরিকল্পনার অংশ।”

কিন্তু কবে থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে? অল্প বাস রাস্তায় নামায় অফিস যাত্রীদের যেমন সমস্যা হচ্ছে, ঠিক তেমনই সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। সেদিক থেকে পরিবহন দপ্তর এবং পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বেশি করে সচেষ্ট হচ্ছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে এখন করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ করা হলেও, এই ব্যাপারে পরিবহন দপ্তর এবং রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!