এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > চার শীর্ষ ঘনিষ্ঠ নেতাকে কলকাতায় ডেকে জরুরি বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী, জল্পনা চরমে

চার শীর্ষ ঘনিষ্ঠ নেতাকে কলকাতায় ডেকে জরুরি বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী, জল্পনা চরমে

২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ঝড় তুললেও, চরম ব্যর্থ হয়েছিল মালদহ জেলায়। জেলার কোনো বিধানসভা আসন তো দখল করতে পারেইনি শাসকদল, উল্টে হেরে যান দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের পর মালদহ জেলার সংগঠনের দায়িত্ত্ব দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দেন একান্ত আস্থাভাজন তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। আর যথারীতি দায়িত্ত্ব হাতে নিয়েই নিজের মত সংগঠনের ভিত মজবুত করার দিকেই তীক্ষ্ন নজর দেন শাসকদলের এই দাপুটে তরুণ তুর্কি। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করেই মালদহ জেলার চার শীর্ষনেতা জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন দুই কার্যকরী সভাপতি নীহাররঞ্জন ঘোষ, দুলাল সরকার (বাবলা) ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়িককে কলকাতায় ডেকে পাঠান জেলার পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর এই বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই।
উপস্থিত থাকা নেতাদের মধ্যে শুধু দুলালবাবু জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে আমাদের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী আচমকাই বৈঠক ডেকেছেন। নেতৃত্ব বৈঠকে ডেকেছে, আমি যোগ দিয়েছি – এর বাইরে কিছু বলার নেই। আর এরফলেই চূড়ান্ত জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে নেতৃত্বের এই বৈঠকে ডাকার তৎপরতা ও বাছাই নেতৃত্বকে ডেকে পাঠানো নিয়েই যাবতীয় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেননা জেলা সভাপতি ও দুই কার্যকরী সভাপতিকে ডাকা হলেও তৃতীয় কার্যকরী সভাপতিকে ডাকা হয়নি। আবার সমস্ত গণসংগঠনের সভাপতিদের মধ্যে কেবলমাত্র যুবনেতা অম্লান ভাদুড়ী ডাক পেয়েছেন। এমনকি ডাক পাননি সাবিত্রী দেবী বা কৃষ্ণেন্দুবাবুর মতো হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা দুটি সম্ভাবনার কথা ভাবছেন। এক, এই চার নেতাকে সামনে রেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় রাজনৈতিক কৌশল শীর্ষ নেতারা তৈরি করতে চাইছেন। সেই কারণে যেদিন পঞ্চায়েতের চূড়ান্ত সংরক্ষণ তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে সেদিনই তড়িঘড়ি তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের আগেই বিভিন্ন ব্লক কমিটি তৈরি করে নেতৃত্বকে একসঙ্গে কাজের বার্তা নিয়ে মাঠে নামানো হবে। আর দুই, সম্প্রতি ইংলিশবাজার পুরসভার পরিচালনা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জেলা সভাপতি বাদ দিলে ডাক পাওয়া সকলেই পুরসভার পদাধিকারিক। ফলে সেই বিষয়েও আলোচনা হয়ে থাকতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!