এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দুর জায়গায় অভিষেক, মানতে নারাজ দলের অন্দরমহলই, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব কর্মীরা

শুভেন্দুর জায়গায় অভিষেক, মানতে নারাজ দলের অন্দরমহলই, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব কর্মীরা


তৃনমূলে বরাবরই দুই যুবনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করা শুভেন্দু অধিকারী তেমন কোনো জায়গায় না থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো হিসেবে পরিচিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মূল জায়গায় আসলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন দলের একাংশ।

তবে লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলাফলের পর সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা শুভেন্দু অধিকারীর দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি যে সমস্ত জায়গায় দলের ভরাডুবি হয়েছে সেই সব জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকেই চাইতে শুরু করেছেন তৃনমূলের কর্মী-সমর্থকরা। আর এই পরিস্থিতিতে দায়িত্বভার শুভেন্দু অধিকারীর কাধে থাকলেও তার বদলে জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করলেন তৃনমূলের একাংশ।

সূত্রের খবর, শুক্রবার তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রার উদ্বোধনে চন্দ্রকোনায় উপস্থিত হন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়ত বা জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী এই জনসংযোগ যাত্রার সূচনা করবেন। কিন্তু শুভেন্দুবাবুর বদলে অভিষেকবাবু সেইখানে আসায় এবং কর্মীদের সেইমত তিনি কোনো বার্তা না দেওয়ায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃনমূলের অন্দরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এদিন জনসংযোগ যাত্রার সূচনার পরে প্রায় এক ঘন্টা ধরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পদযাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সাংবাদিকদের দু এক কথার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া সেইভাবে কর্মীদের কোনো বার্তা দিতে দেখা যায়নি তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একাংশ প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, নেতারা যদি জেলা সফরে এসে কর্মীদের উদ্দেশ্যে এই দুর্দিনে কোনোরূপ বক্তব্যই না রাখেন, তাহলে এমন কর্মসূচি করে লাভ কি! আবার অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী হাতে জেলার দায়িত্ব‌। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনে কোনো লাভ হল না।

পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো কোনো তৃণমূল সমর্থক লিখেছেন, “বন্ধ পার্টি অফিস খুলবে শুভেন্দু পতাকা বাঁধবেন শুভেন্দু, মিছিল করবে অন্য কেউ – এই নোংরামি বন্ধ হোক।” সমালোচক মহলের মতে, বুঝতে বাকি নেই যে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করেই এহেন খোঁচা দিয়েছেন।দুর্দিনে লড়াই করা, কর্মীদের সঙ্গে মিশে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীই যে তাদের কাছে প্রথম চয়েস, তা এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা বলে মত দলের একাংশের।

কিন্তু কেন শুভেন্দু অধিকারীর বদলে এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “দলের নেতাদের কে কোন কর্মসূচীতে জেলায় আসবেন, সেটা দলের রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করেন। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।” সব মিলিয়ে এবার জনসংযোগ যাত্রায় শুভেন্দু অধিকারীর বদলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এলে তা না মেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের একাংশকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!