এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > শুভেন্দু-গড়ের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি রক্ষায় বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, জানুন বিস্তারিত

শুভেন্দু-গড়ের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি রক্ষায় বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, জানুন বিস্তারিত


বাঙালির স্বয়ন, স্বপন ও জাগরনে রয়েছে প্রাচীনতার ছোয়া। আর এরকমই এক সুপ্রাচীন হিন্দু সংস্কৃতির ইতিহাস বিদগ্ধ স্থান হিসেবে পরিচিত পচেটগড় এলাকা। এবারে সেই পটাশপুরের পচেটগড়কেই হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করল রাজ্যের হেরিটেজ কমিশন। কিন্তু ঠিক কি জন্য বিখ্যাত পচেটগড় এলাকা? আর এর পেছনেই বা রয়েছে ঠিক কোন কাহিনী?

জানা গেছে, উড়িষ্যার আটগড় এলাকার বাসিন্দা অসাধারণ সেতার বাদক কালামুরারী দাসমহাপাত্র এখানকার বাসিন্দা ছিলেন। একবার তার সেতারের সুর শুনে মুগ্ধ হয়ে পুরীর রাজা সেই কালামুরারী দাসমহাপাত্রকে জগন্নাথ দেবের তুলসী সেবার দায়িত্ব দেন। পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় থাকার জন্যও তার ব্যবস্থা করে দেন সেই পুরীর রাজা।

কিন্তু পরবর্তীতে সেই কালামুরারী দাসমহাপাত্রকে পুরীর রাজার অনুমোদন নিয়ে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর বাংলা ও ওড়িশার বিভিন্ন বন্দর পরিচালনা দায়িত্ব দিয়ে তাকে পটাশপুর পরগনার জায়গীর প্রদান করেন। জানা গেছে, এই বিশাল দায়িত্ব পাওয়ার পরই 500 বছর আগে একটি জমিদারি বাড়ি তৈরি করেন সেই কালা মুরারী দাসমহাপাত্র। কথিত আছে, খাড়ের ধারে এই বাড়ি তৈরীর পরেই তিনি খবর পান যে, এখানকার জঙ্গলের মধ্যে স্তুপের উপর গরু আপনাআপনি দুধ দিয়ে যায়।

এদিকে লোক মুখে এই কথা শুনে তা বিশ্বাস না হলে সেটিকে দেখবার জন্য সেই জঙ্গল পরিষ্কার করে ঢিপি কাটতে শুরু করেন কালামুরারী। আর এরপরই ওই ঢিপির ভেতর থেকে একটি শিবলিঙ্গ উদ্ধার হয়। আর তখনই সেইখানে শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করে আশেপাশে আরও চারটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। আর যার নাম দেন পঞ্চেশ্বর শিব মন্দির। আর এই পঞ্চেশ্বর থেকেই এলাকার নাম হয়ে যায় পচেট।

তবে শুধু শিব মন্দির নয়, এখানে আরও একাধিক মন্দির সহ 16 টি জলাশয় এবং অসংখ্য প্রাচীন স্থাপত্য রয়েছে। পাশাপাশি জমিদারবাড়ি, গানের সংগ্রহশালাও এখানকার অন্যতম নিদর্শন। আর তাই সেই ইতিহাস বিদগ্ধ নিদর্শনকে ধরে রাখতে এবার এই পচেটগড়কে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

জানা গেছে, বর্তমান এই পচেটগড়ের দেবদত্ত সেবাইত বোর্ডের সেক্রেটারি তথা পচেটগড়ের জমিদারদের বর্তমান বংশধর সুব্রতনন্দন দাস মহাপাত্রকে একটি চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সেক্রেটারি।

আর গ্রামে এহেন খবর পৌঁছতেই প্রবল খুশিতে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। এদিন এ প্রসঙ্গে সেই সুব্রতনন্দন দাস মহাপাত্র এবং পটাশপুর 2 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চন্দন শাহু বলেন, “এই পচেটগড়কে হেরিটেজ ঘোষণা করায় আমরা প্রবল খুশি।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে, আগামী 24 তারিখ এই এলাকার উন্নয়ন ঠিক কীভাবে করা হবে সেই বিষয়ে সাংসদ, বিধায়ক, প্রশাসনিক আধিকারিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সব মিলিয়ে খোদ পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার্থে অনন্য সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!