এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাইরে থেকে টাকা পয়সার বিনিময়ে সুপারি কিলার এনে অশান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে দাবী শুভেন্দুর

বাইরে থেকে টাকা পয়সার বিনিময়ে সুপারি কিলার এনে অশান্তি তৈরির চেষ্টা হচ্ছে দাবী শুভেন্দুর


সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুষ্কৃতি এনে রাজ্যে সন্ত্রাসজনক পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। এর জেরে অশান্তি ছড়াচ্ছে রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত এলাকাগুলোতে। উদ্বেগে দিন কাটছে মানুষগুলোর। গতকাল জামবনির দুবড়া রাবণ পাড়ায় আয়োজিত একটি সভা থেকে বিরোধীদের টার্গেট করে এমন কথা ই জানালেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

উল্লেখ্য,গত ২৮ আগষ্ট ঝাড়গ্রামে তৃণমূল নেতা চন্দন ষড়ঙ্গি রহস্যজনকভাবে খুন হন। তারপর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। পুলিশি তদন্তে অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে সিপিআইএম-এর দুবড়া কমিটির সদস্য তাপস মল্লিকের নাম। তাপস সহ আরো দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন দলীয় কর্মীর মৃত্যুর জন্য স্মরণসভার আয়োজন করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। সেখান শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। ছিলেন মৃত চন্দন ষড়ঙ্গির পরিবারের সদস্যরা।

শুভেন্দু বাবু এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে জানালেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বাংলার বুক থেকে সন্ত্রাসের রাজনীতি ধুয়ে মুছে গিয়েছে। সেটাই সহ্য হচ্ছে না বিরোধীদের তারা বিচ্ছিন্নভাবে বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার এনে সীমান্তবর্তী এলাকায় গন্ডোগোল তৈরি করার চেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি ইসলামপুর ছাত্রমৃত্যুর জন্য বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বনধ প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনায় মুখর হলেন শুভেন্দু বাবু্। দাবীতে জানালেন,বনধের দিন বিজেপি বাইরের থেকে দুষ্কৃতি ভাড়া করে এনে রাজ্যে উত্তক্ত অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। সরকারি বাসে ইট পাটকেল ছোঁড়া,ভাঙচুর করা,বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এসবই করেছে বিজেপি বনধের দিন। শান্তিপূর্ণ বনধ পালনের নামে রাজ্যের ৫৫ টি বাস নষ্ট করেছে বিজেপি। এর মধ্য ৪০ টিই ছিল সরকারি বাস। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার নাম করে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে অগনতান্ত্রিক উদাহরণ তৈরি করেছে বিজেপি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এরা কীভাবে দেশ গড়তে পারে? বাংলার ক্ষমতায় আসতে পারে? কটাক্ষ তৃণমূল হেভিওয়েট নেতার। সঙ্গে তিনি এটাও জানান,এখনই দপ্তরকে বাসগুলোকে মেরামত করতে বারণ করেছেন তিনি। এর বদলে প্রতিটি লাইব্রেরিতে বাস ভাঙচুরের রঙীন ছবি পাঠাতে বলেছেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই বাংলার মানুষের সামনে বিজেপির মুখোশ খুলে দেওয়া। এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বর চড়া করে মন্ত্রী এটাও দাবী করেন যে বনধের দিন পুলিশের উপর হামলা,বাস ভাভচুর সহ একাধিক অভিযোগে যে ১৭ জন বনধ সমর্থনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে,তাদের মধ্যে ৭ জনই বহিরাগত। এরা পড়শি রাজ্য বিহারের লোক বলেই জানান তিনি। এদের টাকার বিনিময়ে বনধের দিন এ রাজ্যে আনা হয়েছিল শুধুমাত্র মারামারি দাঙ্গা করানোর জন্য। এদিন শুভেন্দু বাবুর চাঁচাছোলা আক্রমণের ভঙ্গি শুনে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থনকারীদের ভীড়ে গমগম করছিল স্মরণসভা। তবে তৃণমূলের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যবিজেপির তরফ থেকে এখনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!