এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বামফ্রন্ট > শুভেন্দু হাত তুলে নিতেই তাঁর খাসতালুকে খুলল সিপিএমের অফিস! অনুপ্রেরণায় কে উঠছে প্রশ্ন

শুভেন্দু হাত তুলে নিতেই তাঁর খাসতালুকে খুলল সিপিএমের অফিস! অনুপ্রেরণায় কে উঠছে প্রশ্ন


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম আমলে সিপিএমের বিরুদ্ধে তার লড়াই গোটা রাজ্যের মানুষ দেখেছে। নন্দীগ্রামের এই ভূমিপুত্র কিভাবে মহাকরণে বামেদের আসনকে টলিয়ে দিয়েছিলেন, তা রীতিমতো চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু সেই নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এখন জল্পনা অব্যাহত। পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের দাপটে বিরোধীরা মাথা পর্যন্ত তুলতে পারত না।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে এবং তিনি দলত্যাগ করবেন বলে দাবি করছেন একাংশ, ঠিক তখনই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার সিপিএমের কার্যালয়ে খুলতে শুরু করল। স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি এর পেছনে নতুন কোনো সমীকরণ যুক্ত হল! যে অধিকারী পরিবারের সম্মতি ছাড়া পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একটা গাছের পাতা পর্যন্ত পড়ে না, সেই অধিকারী গড়ে কিভাবে খুলে গেল বিরোধীদের পার্টি অফিস?

সূত্রের খবর, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি খেজুরিতে অবশেষে প্রায় এক দশকের বেশি সময় পর খুলতে দেখা গেল সিপিএমের দলীয় কার্যালয়। যাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। তাহলে এর পেছনে কোন শক্তি সবথেকে বেশি কাজ করছে! শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এইরকম কারও ইন্ধনে তৃণমূলকে চাপে রাখার জন্য সিপিএমকে বাড়তি অক্সিজেন পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা হল!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খেজুরি 1 ব্লকের ধোবাপুকুর এলাকায় সিপিএমের একটি কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি দলীয় উদ্যোগে তার খোলা হয়েছে। যেখানে দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির নেতা হিমাংশু দাস। কিন্তু এতদিন এইখানে সিপিএম কোনোরকম দলীয় কার্যালয় খোলার সাহস পায়নি। হঠাৎ করেই কেন তারা এই দলীয় কার্যালয় খুলে দিল! তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা।

ইতিমধ্যেই অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছে। আর তার মধ্যেই এই পার্টি অফিস খুলে যাওয়া। বুঝতে বাকি নেই, সিপিএমের পার্টি অফিস খোলার পেছনে তাদের ইন্ধন রয়েছে। তাহলে কি খেজুরিতে তৃণমূলের যারা কান্ডারী, তাদের ইন্ধনেই খুলে গেল সিপিএমের এই দলীয় কার্যালয়! এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “খেজুরিতে ক্রমশ পায়ের তলা থেকে তৃণমূলের মাটি সরে যাচ্ছে। তাই বিধানসভা ভোটে পরাজয়কে আটকাতে বিরোধী ভোট ভাগাভাগির কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। সেজন্য তারা পেছন থেকে সহযোগিতা করে একের পর এক সিপিএমের দলীয় কার্যালয় খুলে দিচ্ছে।”

যদিও বা বিজেপির এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে খেজুরি 1 ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বিমান নায়ক বলেন, “বিজেপি এরাজ্যে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই এইসব বলছে। যার কোনো সারবত্তা নেই।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, দীর্ঘদিন সিপিএমের দলীয় কার্যালয় বন্ধ থাকলেও এবং তা খোলার সাহস না থাকলেও, হঠাৎ করেই কেন তা খুলে গেল, তা নিয়ে নিঃসন্দেহে চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে সিপিএমের এই হঠাৎ করে সক্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে বাংলার শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক দোলাচলের কোনো কারণ রয়েছে কিনা, এখন সেই রহস্য উন্মোচন করতেই ব্যস্ত বিশেষজ্ঞরা।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!