শুভেন্দু বিদ্রোহী হতেই মমতার কাছের কে বোঝাতে তৎপর হেভিওয়েট নেতারা নয়া, পদক্ষেপে জল্পনা! তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য November 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে শুভেন্দুবাবু বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে যদি শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের ব্যবস্থা করা না হয়, তাহলে বড় বিপদ হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মান ভাঙানোর জন্য এবার উদ্যত হলেন বেশকিছু হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা। সূত্রের খবর, সোমবার ভাইফোঁটার দিন বিকেলে মানস ভুঁইয়া, অজিত মাইতির মত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতারা তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। আর শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে যখন জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, তখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক তৃণমূল নেতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকে ঘিরে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করল। অনেকেই বলছেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিকারী গড়ের সম্রাট শুভেন্দু অধিকারীর রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই যথেষ্ট আধিপত্য রয়েছে। প্রায় সকলেই স্বীকার করে নেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সবথেকে বেশি কারও জনপ্রিয়তা থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তাই সেই শুভেন্দুবাবু যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে পাশের জেলা পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুরে যে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে ভাইফোঁটার দিন বিকেলে দলনেত্রীর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতাদের সাক্ষাৎ কি শুভেন্দুবাবুর মান ভাঙানোর জন্য আলোচনার একটা অংশ মাত্র? এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। প্রায় দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক সভাকে ঘিরে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। আর তখন থেকেই দলের একাংশ বলছেন, কেন শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনের চেষ্টা করছে না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব! কেন তাকে এভাবে দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে! পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী যখন দলের সঙ্গে দূরত্ব পালন করছেন, তখন তার সম্পর্কে দলের একাধিক শীর্ষ নেতা এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা সেই দূরত্ব বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে ভাইফোঁটার দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিতি শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আলোচনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝানোর কোনো বিষয় কিনা! তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক বিধায়ক সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তবে সকলকে কিছুটা সতর্ক করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মূলত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে খবর। কিন্তু কি আলোচনা হল? তাদের এই আলোচনার মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারীর বিষয় কি উঠে এসেছে? এদিন এই প্রসঙ্গে মানস ভূঁইয়া বলেন, “দলনেত্রীর সঙ্গে আমরা সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। নমস্কার জানালেন। তিনি আমাদের শুভেচ্ছা দিলেন। আমরা তাঁর নেতৃত্বে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “দলনেত্রী ভালোভাবে কাজ করতে বলেছেন। ওনার নেতৃত্বে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি।” অর্থাৎ জেলা তৃণমূল নেতাদের গলায় শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনো কথা শোনা না গেলেও, সকলকে ঐক্যবদ্ধ করার বার্তা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বৈঠক থেকে দিয়েছেন, তা কার্যত পরিষ্কার। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী যে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে চাপের কারণ হয়ে উঠছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা থেকেই পরিষ্কার বলে মনে করছেন একাংশ। কেননা শুভেন্দুবাবু যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার পথ অনুসরণ করে একাধিক বিধায়ক সেই দিকে হাঁটতে পারেন। যার ফলে ব্যাপক চাপে পড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন দলের ঐক্যবদ্ধ রূপকে বেশি করে সুদীর্ঘ করতেই জেলা তৃণমূল নেতাদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -