এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু বনাম তৃণমূলের সভার দিকে তাকিয়ে গোটা বঙ্গ, কোন দিকে ঝড় বেশি মাপছে রাজনৈতিক মহল!

শুভেন্দু বনাম তৃণমূলের সভার দিকে তাকিয়ে গোটা বঙ্গ, কোন দিকে ঝড় বেশি মাপছে রাজনৈতিক মহল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রাম শুধু একটি নাম নয়। নন্দীগ্রাম রাজ্যের শাসন ক্ষমতা পরিবর্তনের একটি মাধ্যম। যা বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে তৃনমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতার অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু এবার সেই নন্দীগ্রাম যত জল্পনা তৈরি করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এই নন্দীগ্রামে বিগত বাম আমলে যিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে তিনি রাজ্যের জনপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট শীর্ষনেতা তবে তার আচার-আচরণ নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

কেননা নন্দীগ্রামের সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একটি অরাজনৈতিক ব্যানারের সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিতে দেখা যায়নি তাকে। উল্টে নন্দীগ্রামকে এত বছর পর মনে পড়েছে বলে তৃণমূলের একাংশকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দুবাবু বলে দাবি করছেন একাংশ। আর শুভেন্দু অধিকারী যখন অরাজনৈতিক ব্যানারে সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন, ঠিক তখনই পাল্টা সেই নন্দীগ্রাম দিবসকে স্মরণ করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। যা হাজরাকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবেই এই সভায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারী থেকে শুরু করে অখিল গিরি, এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম উপস্থিত থাকলেও সেখানে অনুপস্থিত এই শুভেন্দু অধিকারী। আর এই ঘটনাকে নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু? পৃথকভাবে সভা করে তিনি কি তাহলে দলের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন!

তবে এই সমস্ত প্রশ্নের মাঝে সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, নন্দীগ্রামকে স্মরণ করে একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সভা এবং অন্যদিকে তৃণমূলের সভা সবথেকে বেশি জমায়েত হল কার সভায়? কার সভা বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠল! এখন তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বিপদের সময়ে নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে থেকেছেন। নন্দীগ্রামে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর বহু সময় পেরিয়ে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু নন্দীগ্রামে সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তির বছরে একসময় তৃণমূল সরকারকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করতে দেখা গেছে। সেই সময় তৃণমূলের কাউকে এই নন্দীগ্রামে আসতে দেখা যায়নি। কিন্তু তখন শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এখন শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে যখন দূরত্ব তৈরি করছেন, তখন পাল্টা তৃনমূলের পক্ষ থেকে এই সভা করে শুভেন্দুবাবুর জনপ্রিয়তাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ একাংশের। তবে এই সমস্ত করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। শুভেন্দু অধিকারী শুধু নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের নয়, তিনি রাজ্যের অবিসংবাদিত নেতা। তাই তার সভায় সবথেকে বেশি ভিড় হয়েছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে  হাজরাকাটায় সভার আয়োজন করা হলেও সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তিনি যেমন জনপ্রিয় নেতা, ঠিক তেমনই তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি এই সভায় অনুপস্থিত থেকে কি বার্তা দিতে চাইছেন, তা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যে। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের সূর্যোদয়ের বর্ষপূর্তির দিনে এখন গোটা রাজ্যে প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী নাকি তৃণমূলের সভায় সবথেকে বেশি ভিড় হল! কারা মানুষের কাছে বেশি জনপ্রিয় হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করতে সচেষ্ট হল! বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার নতুন করে নন্দীগ্রাম যেভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, তাতে আগামী দিনে এই নন্দীগ্রাম গোটা রাজ্যে আবার আলোচনার প্রেক্ষাপট হয়ে উঠবে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!