এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মেদিনীপুর মানেই কি অধিকারী ফ্যাক্টর? বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল না বিজেপি কার পাল্লা ভারী?

মেদিনীপুর মানেই কি অধিকারী ফ্যাক্টর? বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল না বিজেপি কার পাল্লা ভারী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস বাকি। তারপরেই 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন। আর এই বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃনমূলের দাপুটে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। বর্তমানে শুভেন্দুবাবু কার্যত সমস্ত সাংগঠনিক কাজ থেকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। তাই আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সেই শুভেন্দু অধিকারী যদি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার প্রভাব যে ভোটব্যাংকে পড়বে, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তাই এখন গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় সকলেই শুভেন্দু অধিকারী কি করেন, তার পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কি হয়, তার দিকে নজর রয়েছে সকলের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর নামে কার্যত বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সেখানে বিজেপির উত্থান আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, 2017 সালের উপ নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটের মার্জিন এবং শতাংশ হারে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল। যা অবশ্যই তৃণমূলের কাছে বড়সড় স্বস্তির কারণ। কিন্তু বর্তমানে সেখানে বিজেপির উত্থান হতে দেখা যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের এই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভোটব্যাংক বৃদ্ধি আমার সবথেকে বড় কারণ যদি কিছু হয়, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী।

তাই অধিকারী পরিবার ছাড়া এই এলাকায় তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষমতা কারোর নেই বলেই মনে করেন সকলে। কিন্তু এখন সেই শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের সমস্ত জায়গা থেকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছেন। তাই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি শুভেন্দু অধিকারী শাসক দলে সক্রিয় না হন, তাহলে বিজেপি এখানে অনেকটাই ফায়দা তুলে নিতে পারে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন থেকে শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে পূর্ব মেদিনীপুরের বাইরেও সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে কাজে লাগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্য মেলে। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক হওয়ার পর সেই শুভেন্দু অধিকারী গুরুত্বপূর্ণ পদ পাবেন বলে মনে করা হলেও, তাকে সেরকম কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি। উল্টে তার ডানা ছাটা হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তার অনুগামীরা নিজেদের মত করে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি এবং নাম দিয়ে সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেছেন।

যার ফলে শুভেন্দুবাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকেই বলছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। তবে এখন এই রকম কোনো সিদ্ধান্ত রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী নেবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যদি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের হয়ে শক্ত হাতে ব্যাটিং না করেন, তাহলে তা তৃণমূলের পক্ষে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়াবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে বিজেপি অনেকটাই ফায়দা তুলে নিতে পারে। সব মিলিয়ে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কার পাল্লা সবথেকে বেশি ভারী হবে, তা শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!