এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু সহ একাধিক হেভিওয়েটের ক্ষোভ-বিক্ষোভ উড়িয়ে সংগঠন মজবুত করতে পদক্ষেপ তৃণমূলের?

শুভেন্দু সহ একাধিক হেভিওয়েটের ক্ষোভ-বিক্ষোভ উড়িয়ে সংগঠন মজবুত করতে পদক্ষেপ তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই দলের বিদ্রোহী নেতাদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী থেকে শুরু করে ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত। প্রশান্ত কিশোরের টিম সম্পর্কে তাদের মন্তব্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসক দলকে। অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ের সম্রাট তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দলের সঙ্গে দূরত্ব বেকায়দায় ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরকে।

এমত পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ক্ষোভ-বিক্ষোভকে সামাল দিয়ে এখন সংগঠনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। কিভাবে দলের বিদ্রোহী নেতাদের ক্ষোভকে সামাল দেওয়া যাবে, এখন তা বড় প্রশ্ন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে। জানা গেছে, দলের বিদ্রোহী নেতাদের ক্ষোভকে সামাল দিতে আগামী রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নেতাদের বিজয়া সম্মিলনীতে সেই বার্তা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেখানে দলকে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সকলকে একজোট হয়ে লড়ার কথা বলা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে কার্যত কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন ব্যারাকপুরে তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। যেখানে তিনি বলেন, “অনেক কম বয়স থেকে রাজনীতি করছি। কর্পোরেট সংস্থার এই রাজনীতি বাংলায় চলবে বলে মনে করি না। আর আমি তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব না। মেধাবী কর্মী থাকতে পারেন। তাদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নেই।” পাশাপাশি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আর লড়বেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

এদিকে শীলভদ্র দত্তের অনেক আগেই প্রশান্ত কিশোরের এই সংস্থাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। আর এই সমস্ত তৃণমূল বিধায়কের বিদ্রোহ কার্যত ছাপিয়ে গেছে শুভেন্দু অধিকারীর আচার-আচরণ। যেখানে দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব অবলম্বন করে বিভিন্ন অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী।

তার নানা মন্তব্য অস্বস্তিতে ফেলছে ঘাসফুল শিবিরকে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একের পর এক বিধায়ক এবং মন্ত্রী যদি দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ মনোভাব পোষণ করতে শুরু করেনহ তাহলে তা যে বিজেপির কাছে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে বিদ্রোহীদের শান্ত করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঐক্যের বার্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব এই উদ্যোগ পালনে কতটা সাফল্য পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!