এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু ইস্তফা দিতেই একে একে পদ ছাড়ছেন হেভিওয়েটরা, শুরু শোরগোল!

শুভেন্দু ইস্তফা দিতেই একে একে পদ ছাড়ছেন হেভিওয়েটরা, শুরু শোরগোল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ঠিক তেমনটাই হতে দেখা যাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর সাথে সাথেই তার অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গায় তার পোস্টার দেওয়া শুরু করেছিলেন। তবে তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব। তাই কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ ছাড়ার পর এবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সাথে সাথেই তার পথ ধরে ইস্তফা দিলেন একাধিক তৃণমূল নেতা।

সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই মালদহের বামনগোলা ব্লকের তৃণমূলের পাঁচটি অঞ্চলের সভাপতি তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। যা নিয়ে এখন ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে শাসকদলে। একাংশ বলছেন, এই শুভেন্দু অধিকারী মালদহের পর্যবেক্ষক থাকার সময় নিচুতলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীর পরিচয় বহন করে বলেই মনে করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বামনগোলা ব্লকের ছটি অঞ্চল রয়েছে। যার মধ্যে পাঁচটি অঞ্চলের সভাপতি জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকারের কাছে তাদের ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর এখানেই প্রশ্ন, কেন একসঙ্গে পাঁচটি অঞ্চল সভাপতি তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন! এমনি সময় ইস্তফা দিলে না হয় এতটা জল্পনা হত না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে এই পাঁচ নেতা দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তাতে তারা শুভেন্দু অধিকারীর পথেই হাঁটবে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মানিক মাহাতো বলেন, “দল গঠনের সময় থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছি। এখন দলে আমাদের গুরুত্ব নেই। ঠিকাদার, ব্যবসায়ীদের দিয়ে ব্লক চলছে।” তবে পদ থেকে ইস্তফা দিলেও, তিনি যে দলেই থাকবেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা।আর যেভাবে এই পাঁচ নেতা একের পর এক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তাতে রীতিমত টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শাসকদলে। এদিকে এই প্রসঙ্গে বিগত বিধানসভা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অমল কিস্কু বলেন, “আমি তৃণমূলেই আছি। অঞ্চলের নেতাদের ইস্তফা নিয়ে আমার কিছু জানা নেই।”

তবে এই ব্যাপারে মালদহ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, “নতুন করে জেলার সমস্ত অঞ্চলের কমিটি গঠন হচ্ছে। বামনগোলা ব্লকের পাঁচটি অঞ্চলের নতুন করে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তাই ইস্তফার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়।” কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্ব মুখে যে কথাই বলুন না কেন, শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর যেভাবে মালদহ জেলার বামনগোলার পাঁচ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তাতে সমস্যা কার্যত বাড়তে শুরু করেছে শাসকদলে।

আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভবিষ্যৎ কি হবে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর কোনো জনপ্রিয়তা নেই বলে যখন প্রমাণ করা হচ্ছে, তখন তার ইস্তফা দেওয়ার পর পাঁচ তৃণমূল সভাপতি ইস্তফা তৃণমূল নেতৃত্বের এই বক্তব্যকে কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা‌। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!