এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে প্যাঁচে ফেলতে তৎপর রাজ্য,পাল্টা তৃণমূলকে চাপে ফেলবে বিজেপি? সরগরম রাজ্য রাজনীতি!

শুভেন্দুকে প্যাঁচে ফেলতে তৎপর রাজ্য,পাল্টা তৃণমূলকে চাপে ফেলবে বিজেপি? সরগরম রাজ্য রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সতীর্থ বর্তমানে বিজেপির প্রধান মুখ তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে তাকে। যার পাল্টা সেই শুভেন্দু অধিকারীকে অস্বস্তিতে ফেলে দিতে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুতে তদন্তভার গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে মনে করা হচ্ছে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে বিরোধিতা শুরু করতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, তাতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা। আর এর পেছনে শাসকদলের ইন্ধন রয়েছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে যদি শুভেন্দু অধিকারীকে এইভাবে চাপে রেখে বিপদে ফেলতে তৎপর হয় তৃণমূল সরকার, তাহলে পাল্টা যে বিজেপির পক্ষ থেকে তৎপরতা গ্রহণ করা হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। যার ফলে সারদা থেকে শুরু করে নারদা, বিভিন্ন মামলায় জড়িত তৃণমূল নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ সিআইডির পাল্টা যে সিবিআই কার্যত প্রস্তুত, তা বলাই যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যু নিয়ে বিজেপিকে চাপে ফেলে দেওয়ার কৌশল গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার গ্রহণ করতে দেখা যায় রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে। যার পরে একাংশ কার্যত ধরে নেয় যে, শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে তৃণমূল সরকারের বিরোধিতা করছেন, তাতে তাকে চাপে রাখতেই সিআইডির পক্ষ থেকে তদন্তভার গ্রহণ করা হল।

অর্থাৎ পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে এই সিআইডির মধ্যে দিয়ে চাপে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রাজ্য নেতৃত্ব যে সব সময় শুভেন্দু অধিকারীর পাশে রয়েছেন, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার জেরে নানা মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তৃণমূলকে পাল্টা বিপাকে ফেলতে সারদা কাণ্ড নিয়ে নতুন করে ফাইল সামনে আনতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইভাবে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েও তৎপরতা দেখাতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের তৃণমূল সরকারের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে। সেদিক থেকে আবারও এই নারদ কান্ডে তৎপরতা গ্রহণ করে তৃণমূল সরকারের চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে সিবিআই বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্য যদি শুভেন্দু অধিকারিকে চাপে রাখে, তাহলে কেন্দ্র যে কোনোমতেই তৃণমূল সরকারকে ছেড়ে কথা বলবে না, তা একবাক্যে পরিষ্কার বিশেষজ্ঞদের কাছে। যার জেরে তৃণমূল এবং বিজেপির এই লড়াইয়ের মাঝে সিআইডি এবং সিবিআইয়ের তৎপরতা কিছুটা হলেও ভাবাতে শুরু করেছে একাংশকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে সবই বোঝাপড়ার খেলা। শুভেন্দু অধিকারীর ওপর যাতে চাপ সৃষ্টি করা না হয়, তার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সিবিআই জুজু সামনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এখন সেই সতর্কতা দেখে নিজেদের গুটিয়ে নিতে পারে তৃণমূল সরকার। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও থমকে যেতে পারে।

স্বাভাবিকভাবেই এই তদন্ত প্রক্রিয়া যদি থমকে যায়, তাহলে সারদা, নারদা সহ যে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে, সেগুলো নিয়েও অতি সক্রিয়তা বন্ধ করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অর্থাৎ বর্তমানে কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই সরকারের নিয়ন্ত্রণ তদন্তকারী সংস্থা যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই ব্যাপারে কার্যত একমত সমালোচক মহলের একাংশ। সব মিলিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের এই দড়ি টানাটানি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!