এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর খাসতালুকে পদ থেকে অপসারিত হলেন ‘দাদার অনুগামী’ দুই হেভিওয়েট, জল্পনা তুঙ্গে!

শুভেন্দুর খাসতালুকে পদ থেকে অপসারিত হলেন ‘দাদার অনুগামী’ দুই হেভিওয়েট, জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের সঙ্গে তার সম্পর্ক যে প্রায় ছিন্ন হওয়ার পথে, তা বুধবার আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে বিধানসভায় গিয়ে নিজের বিধায়ক পদে ইস্তফাপত্র জমা দিতে দেখা গেল নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রায় অনেকদিন ধরেই তার সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় তার অনুগামীরা দাদার অনুগামী লিখে তার ছবি ব্যবহার করে শুভেন্দুবাবুর প্রচার শুরু করেছিলেন। আর শুভেন্দু বাবু এই প্রচার করার পেছনে তৃণমূলের যারা পদাধিকার হিসেবে জড়িত রয়েছেন তাদের দিকে নজর রেখেছিল শাসকদল।

কিন্তু এবার শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দলের সঙ্গে আরও দূরত্ব বাড়ানোর পর সেই তার অনুগামী হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল তৃনমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, এদিন কোলাঘাট ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি রাজু কুন্ডু এবং সুতাহাটা ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি মহাপ্রসাদ পাত্রকে তাদের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছে। জানা গেছে, তারা দাদার অনুগামী হিসেবে এতদিন কাজ করছিলেন।

ফলে শুভেন্দু অধিকারী যখন দল ছাড়বেন একথা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সকলের কাছে, তখন সেই দুই নেতাকে চিহ্নিত করে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি পার্থসারথি মাইতি। যার জেরে এখন ব্যাপক জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে। বুধবার বিকেলে তমলুকে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই দুই যুব তৃণমূল নেতাকে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি পার্থসারথি মাইতি।

তিনি বলেন, “কাজের পর্যালোচনা করে দেখা গেছে এই দুজন দায়িত্ব পেলেও তা পালন করেননি। তাই তাদের সরিয়ে সহ-সভাপতিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” অর্থাৎ পার্থসারথিবাবু মুখে এই সমস্ত নেতারা তার অনুগামী বলে না বোঝালেও, পরোক্ষে তাদের বহিষ্কার করে কার্যত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারী এবং তার টিমকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই দাবি একাংশের।

এদের এই প্রসঙ্গে বহিস্কৃত রাজু কুন্ডু বলেন, “দাদা যে পথে চলেছেন, সেই লড়াইয়ে আমিও সামিল হব।” অর্থাৎ বহিস্কৃত নেতার মন্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তারা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত‌। তারা শুভেন্দু অধিকারীকে কোনোমতেই ছাড়বেন না। স্বাভাবিকভাবেই শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হওয়ার কারণে এই দুই তৃণমূল নেতাকে যেভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হল, এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা। তার সঙ্গে দূরত্বকে আরো বাড়িয়ে দিয়ে যেভাবে জেলা যুব তৃণমূল নেতৃত্ব তার ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দিল, তাতে তো শুভেন্দুবাবুর অনুগামী বা শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব আরও বাড়তে শুরু করবে! এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতৃত্ব যদি পরে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করে, তাহলে তাতে আদৌ শুভেন্দুবাবু বা তার অনুগামীরা রাজি হবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানোর সময় বিভিন্ন জেলায় তার ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছিল শাসকদল। কিছুদিন আগে থেকে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার তৎপরতা আরও বেশি করে চোখে করতে শুরু করে। আর এবার শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা পত্র জমা দেওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যুব তৃনমূলের নেতাকে বহিষ্কার করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।

যার ফলে একাংশ কার্যত নিশ্চিত যে, এর পেছনে শুভেন্দু অধিকারীর দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পাওয়া বা দাদা অনুগামী টিমের বাড়বাড়ন্ত প্রধান কারণ। তবে এই ঘটনার কারণে যেভাবে একের পর এক শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ নেতাদের ডানা ছাটতে শুরু করেছে শাসকদল, তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!