এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু কি বিজেপিতে যাচ্ছেন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের মন্তব্যে জোর জল্পনা!

শুভেন্দু কি বিজেপিতে যাচ্ছেন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠের মন্তব্যে জোর জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করবেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি তাকে। যার ফলে জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছে। কি করবেন শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা তার ফ্লেক্স টানিয়ে “দাদার অনুগামী” বলে নিজেদের প্রচার অব্যাহত রেখেছে।

তবে শুভেন্দু অধিকারী র যে আর তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না, তা তার ঘনিষ্ঠ এক অনুগামীরা মন্তব্য থেকেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। পাশাপাশি শুভেন্দুবাবুর অনুগামীর বক্তব্য থেকে তার বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা বৃদ্ধি পেল বলে দাবি করছেন একাংশ। সূত্রের খবর, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ কনিষ্ক পান্ডা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যেখানে নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, শুভেন্দু অধিকারীকেই বাংলার মানুষের দরকার।

স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সুপ্রিমো সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ এক নেতা এই ধরনের বক্তব্য পেশ করায় নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এদিন কনিষ্কবাবু বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীকেই দরকার। আর ত্যাগ বলতে গেরুয়া।” স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমানে শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে যখন দোলাচল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন ত্যাগ বলতে গেরুয়া শব্দ ব্যবহার করে কি সেই শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করতে চলেছেন!

এমনটাই বোঝাতে চাইলেন কনিষ্কবাবু! এখন তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। এদিন কনিষ্ক পান্ডা বলেন, “দিদির সবকিছুই ঢপ। দিদি স্বাস্থ্যসাথী ঢপ। যখন হাসপাতালে নিয়ে যাবেন, তাড়িয়ে দেবে। দিদির কাছে কোনো টাকা নেই। দিদির যা ঋন আছে, তা শোধ হবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীকেই দরকার। আর ত্যাগ বলতে গেরুয়া।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর কনিষ্কবাবু শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার মুখ থেকে এরকম বক্তব্য প্রকাশ্যে আসায় তা যে শুভেন্দু অধিকারীর ভাবনার বহিঃপ্রকাশ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সকলেই বলতে শুরু করেছেন, এতদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে জল্পনাকে জিইয়ে রেখেছিলেন। এখনও পর্যন্ত তার মুখ থেকে কিছু শোনা যায়নি।

কিন্তু তার ঘনিষ্ঠ অনুগামী যেভাবে “ত্যাগ বলতে গেরুয়া” শব্দ ব্যবহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন, তাতে তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই শুভেন্দু অধিকারীর। শুধু তাই নয়, তিনি ধীরে ধীরে দলবদলের হাওয়ায় গা ভাসাতে চলেছেন বলেও মনে করছেন একাংশ। যা নিঃসন্দেহে রাজ্য রাজনীতিতে বড় জল্পনার সৃষ্টি করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কনিষ্কবাবুর বক্তব্যের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর পদক্ষেপের কোনো মিল পাওয়া যায় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!