শুভেন্দু অনুগামীদের বার্তা দিতেই কি আসরে অভিষেক! বাড়ছে জল্পনা! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন জেলার একাধিক তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ছোট-বড়-মাঝারি নেতারা দলত্যাগ করতে শুরু করেছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি এখন গেরুয়া শিবিরের পথে ভবিষ্যতে অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।আর এই পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যারা দলবদল করতে শুরু করেছেন, তাদের বার্তা দিতেই কি এবার ময়দানে নামতে চলেছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতা ইতিমধ্যেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভা থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এবার জানুয়ারি মাসের শুরুতেই সেই দক্ষিণ দিনাজপুর সফরে আসতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই শুভেন্দু অধিকারী বা তার অনুগামীদের জব্দ করতেই এই সফর করছেন। বলা বাহুল্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের কারণেই যে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর, তা একপ্রকার নিশ্চিত সকলের কাছেই। আর তা যে অত্যন্ত সত্যি কথা, তা দলত্যাগের পর শুভেন্দু অধিকারীর সভা থেকে নাম না করে “ভাইপোর” উদ্দেশ্যে করা মন্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বালি চোর, কয়লা চোর বলে “ভাইপো” শব্দ বন্ধনী উচ্চারণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে দাবি করছেন একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারী যখন বিরোধী শিবিরের নাম লিখিয়েছেন এবং তার পথে হাঁটতে শুরু করেছেন তৃণমূলের একাংশ, তখন তাদের কোনোমতেই ময়দান ছেড়ে দিতে নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাথিতে সভা করতে দেখা গেছে তৃণমূলের ফিরহাদ হাকিম এবং সৌগত রায়কে। আর এবার যে সমস্ত জেলায় শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে কাবু করতেই কি আসরে নামছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করল। অনেকে বলছেন, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব খুব ভালো করেই জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি তৃণমূল কংগ্রেসে গ্রহণযোগ্যতা কারো থেকে থাকে, তাহলে তিনি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করার পর তৃণমূলে ভাঙনের আশঙ্কা জোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে যতজন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তারা যাতে বেশি প্রভাব ফেলতে না পারে এবং ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ না করেন, তার জন্যই এবার আসরে নামলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পর্যবেক্ষকদের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফলাফল খুব একটা ভাল হয়নি। তবে দীর্ঘদিন থেকেই উত্তরবঙ্গের সংগঠন পুনরুদ্ধারের জন্য দায়িত্ব পড়েছিল সেই শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। নিজের মত করে মালদহ থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ যে সমস্ত জেলায় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ছিল, সেখানে ঘাসফুল ফুটাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরবঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর একটা বিশাল আধিপত্য আগে থেকেই ছিল। তাই সেই আধিপত্যকে কাজে লাগিয়ে এখন শুভেন্দু অধিকারী ময়দানে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভাঙতে শুরু করবেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুবাবু বা তার অনুগামীদের কাবু করতেই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যার কারণে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নামানো হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে গিয়ে জানুয়ারি মাসে সভা করবেন, ঠিক তখনই সেই সময় উত্তরবঙ্গের বিজেপি প্রভাবিত দক্ষিণ দিনাজপুরে সভা করতে দেখা যাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অর্থাৎ যেনতেন প্রকারেণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন শুভেন্দু অধিকারী এবং তার অনুগামীদের কাবু করতে কৌশল প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে বাগে আনতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ময়দানে নামা তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা চাঙ্গা করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের । আপনার মতামত জানান -